ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি-
বর্নাঢ্য আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী চরভদ্রাসন সরকারী কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও পুনর্মিলনীসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমানের নিক্সন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব ও পুনর্মিলনীর কার্যক্রম শুরু হয়। পরে উক্ত কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন,ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কাউসার হোসেন, চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান,সমাজসেবক মোঃ আনোয়ার আলী মোল্লা, অত্র কলেজের সাবেক ভিপি মিজানুর রহমান, । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজের সাবেক ভিপি মিজানুর রহমান,মোশারফ হোসেন, শাজাহান মোল্লা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, গনমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
জননেতা মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপি বলেন,পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে চরভদ্রাসন উপজেলাকে রক্ষার জন্য সরকার ৩৫০ কোটি টাকার নদী শাসনের কাজ করেছে, চরভদ্রাসন সরকারী কলেজের ছয়তালা একটি ভবনের প্রস্তাব করা হয়েছে আগামী বছরই যার কাজ শুরু হবে। জনগণ যাতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের আমলে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে মানুষের কল্যাণে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আরও হবে। চরভদ্রাসন সরকারী কলেজকে আরও বেশি পরিপূর্ণ ও যুগোপযোগী করে তুলতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে প্রথমবারের মত ঐতিহ্যবাহী এই কলেজে পুনর্মিলনীর আয়োজনকে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সেতু বন্ধন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন পরে হলেও এই আয়োজনে প্রাক্তন-বর্তমানদের পদচারণায় মিলন মেলায় পরিনত হয় কলেজ প্রাঙ্গন। প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছালমা বেগম বলেন, প্রথমবারের মত চরভদ্রাসন কলেজে পুনর্মিলনী হলো। আমাদের খুব ভাল লাগছে। সবার সাথে দেখা হয়েছে। সবাই সবার সাথে পরিচিত হওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছে। এই আয়োজনকে আমরা স্বাগত জানাই। কলেজের প্রাক্তন ছাত্র মামুন মৃধা বলেন, পুনর্মিলনীতে সবাইকে এক সাথে দেখে ভাল লাগছে। কারা কখন এই কলেজে পড়েছে তা জানতে পারলাম। কলেজে ইতিহাস জেনে আমরা গর্বিত। এই ধরনের আয়োজন আবারও করার আহ্বান জানান এই শিক্ষার্থী।দ্বিতীয় অধ্যায়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এতে গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিল্পী লায়লা।