চাটমোহরে কৃতীসন্তান, গুণী-শিক্ষক দেল মাহমুদ এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

// অনাবিল ডেক্স : পাবনার চাটমোহর উপজেলার কৃতীসন্তান ও আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর দেলমাহমুদ-এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর রাত ৯.৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একাশি বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে ঢাকা সেনানিবাসে, চাটমোহরে এবং বগুড়ায় জানাজা শেষে বগুড়ার ঠনঠনিয়া কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।

শিক্ষাবিদ দেলমাহমুদ ১৯৩৯ সালের ৩০ এপ্রিল পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার চরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফোর্স টিসি দিলে তিনি ফরিদপুর উপজেলার দিঘলীয়া আলহাজ জয়েন উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর কারিগরি শিক্ষার ওপর বিভিন্ন কোর্স সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। সর্বশেষ নওগাঁ ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের সুপারিনটেন্ডেন্ট হিসেবে অবসর নিয়ে বগুড়ার পাইকারপাড়া মালতিনগরস্থ “স্বপ্নের সিঁড়ি” বাড়িতে বসবাস করেন। মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ ছেলে– অধ্যাপক ডাক্তার মো. জাহাঙ্গির আলম (কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় অবসর নেন), মেজর জেনারেল মো. ফসিউর রহমান, এনডিসি , ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন , কৃষিবিদ এএইচএম জাকির হোসেন (উপ-সহকারী ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং কনিষ্ঠ পুত্র আইজিপি ওয়াই এম বেলালুর রহমান ।

আমরা এই গুণীশিক্ষকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমিন।