মৌলভীবাজার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন, স্থানীয় এমপি ও জেলার পুলিশ সুপার

// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পদুনাপুর বাজারে দুর্বৃত্তের দেয়া অ’গ্নিকান্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান, পিপিএম (বার), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন চৌধুরী, আপার কাগাবলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমন মোস্তফাসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীগণ। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেন দোকান মালিক আব্দুল হামিদ। একাধিক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় জনমনে আতৎক তৈরি হয়েছে। বিগত ৩০ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে বাজারে দোকানে ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী রনি ষ্টোরের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হামিদ জানান- এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে। একাধিকবার আমার দোকানে আগুন লাগানো হয়েছে। গত ১০ বছর আগে আগুন লাগানো হয়েছে। যিনি আগুন লাগিয়েছিলেন এবারও তিনিই লাগিয়েছেন মর্মে অভিযোগ করেনে। তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে সব তথ্য দিয়েছি। প্রশাসন চাইলেই এই জঘন্য কাজে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত সনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেন। আপার কাগাবলা ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল খালিক জানান- বাজারে এখন অপরাধীর আস্তানা হিসাবে গড়ে উঠেছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতৎক বিরাজ করছে। দুষ্কৃতকারী যেই হোক উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান। আপার কাগাবলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমন মোস্তফা বলেন, ঘটনার পর পরই আমি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করি। তারা সরজমিনে এসে পরিদর্শন করেন এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম আগুন নিভায়। ঘটনাটির বিষয়ে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন চৌধুরী এসে পরিদর্শন করেন এবং এডিসি ও ডিসিকে অবহিত করেছেন। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান পরিদর্শন করে মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ, জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান, পিপিএম (বার)। এ সময় পুলিশসহ সংশ্লিস্টদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী, ৪নং আপার কাগাবলা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইমন মোস্তফাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ বলেন- দুষ্কৃতকারীরা তদন্তের মাধ্যমে অবশ্যই শনাক্ত হবে। প্রশাসনের সেই তৎপরতা রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম (বার) বলেন- ঘটনার সাথে যারাই জড়িত পুলিশ তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। আপনারা তথ্য দিয়ে আমাদেরকে সহযোগীতা করবেন।