// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কুলাউড়ায় ডান হাত প্রায় দ্বিখন্ডিত ও নানা জঠিল রোগে আক্রান্ত শারিরীক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কুলাউড়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, ডিআইজি সিলেটসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ও সর্বশেষ মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কুলাউড়া উপজেলার ১নং বরমচাল ইউনিয়নের মৃত সুরুজ খান এর পুত্র ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী শাহেল খান (৩৮)। তিনি জানান- পুলিশের বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দেওয়ায় প্রতিহিংসার শিকার। তার অনুপস্থিতিতে জিআর ১২৫/২০১২ইং, একটি মামলায় (মারামারি মামলা) সাজা প্রাপ্ত হলে কুলাউড়া থানা পুলিশ গত ৪ আগষ্ট গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর থানার ফেইসবুক পেইজে রাবার চোর, গাছ চোর, ৮টি মামলার আসামীসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত মর্মে তার ছবিসহ ফেইসবুক পেইজে পোষ্ট করেন। ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন- তার উপর রাবার চুরি, গাছ চুরিসহ ৮টি মামলার কোন ভিত্তি নেই। মূল বিষয় হলো- রাউৎগাঁও উত্তর একরামনগর গ্রামের শহীদ আলীর স্ত্রী নাজমা আক্তার বিগত ১০/০৪/২০২৩ইং কুলাউড়া থানার এস আই হারুনুর রশিদ, ওসি আব্দুস ছালেকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সিলেট ডিআইজি পুলিশ রেঞ্জ ও পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগে ভুক্তভোগী মোঃ শাহেল খান, ৪নং সাক্ষী। পরবর্তীতে পুলিশ কর্তৃক অভিযোগ তদন্ত হলে তিনি স্বাক্ষী প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপমান জনক মন্তব্য, থানার ফেসবুক পেইজে ছবি পোষ্ট দিয়ে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি শারিরীকভাবে প্রতিবন্ধী ও নানা জটিল রোগে আক্রান্ত থাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন। রাষ্ট্রবিরোধী কোন কাজের সহিত জড়িত নহে এবং মর্মে স্থানীয় ১নং বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের চেয়ারম্যান প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছেন বলে দাবী করেন। বর্তমানে প্রতিবন্ধী সাহেল খাঁন ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনাটি সুষ্ট তদন্ত করে দ্রুত আইনী প্রদক্ষেপ গ্রহন করার জোর দাবী জানান।