// সঞ্জু রায়, বগুড়া:
তিন দফা উজানের ঢলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রমোত্তা যমুনায় বিলীন হয়েছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা গ্রামের শতাধিক পরিবারের ভিটেমাটিসহ বেঁচে থাকার সকল অবলম্বন। যার মাঝে অর্ধশতাধিক পরিবার পরনের কাপড় ছাড়া নিতে পারেনি কিছুই। ঘরের আসবাবপত্র, গবাদিপশুও বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। সব হারানো মানুষগুলোর ঠাঁই এখন আশ্রয়কেন্দ্রে।
প্রশাসনের পাশাপাশি শুরু থেকে বানভাসী এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে
মঙ্গলবার দুপুরে ইছামারা গ্রামে অর্ধশত বানভাসী পরিবারের মাঝে তিনি তোষক, ২টি বালিশ, বিছানার চাদর ও দেড় শতাধিক মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।
বিতরণকালে মানবিক এই নেতা বলেন, যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমি নিজেও যমুনার ভাঙন দেখে বড় হয়েছি, তাই নদীর নিকটবর্তী মানুষের দুঃখ কষ্ট হৃদয় দিয়ে অনুভব করি। এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ লাঘবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই এলাকায় ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্টরা যে লক্ষ্যে তারাও সমন্বয় করবেন বলে জানান তিনি।
ইছামারা গ্রামের বাসিন্দা গোলেনু বেগম বলেন, ঘরের হাড়ি পাতিল পর্যন্ত বের করতে পারিনি। যমুনা আমার সব নিয়ে গেছে। প্রতিদিন রাতে চেয়ারম্যান খাবার দেয় আর আজ যে জিনিসপাতি পেলাম এখন অন্তত পানি নামা পর্যন্ত খেয়ে পরে বাঁচতে পারবো। আর এই কয়দিন শোয়ার খুব কষ্ট ছিল স্কুলের বেঞ্চে তোষক আর বালিশ বেশি উপকার হলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় নেতা মেহেদী হাসান রবিন, কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাছেদুউজ্জামান রাছেল, সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক সোহান সাগর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিব প্রমুখ।
এর আগে গত রোববার ওই এলাকার বন্যা কবলিত জায়গায় ভাঙন রোধে বিনামূল্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে প্রায় ২ কোটি টাকার ৪০ হাজার ব্লক বিনামূল্যে প্রদান করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। তার দেয়া এসব ব্লক ইছামারা, রৌদহসহ বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ স্থানে ফেলা হচ্ছে।