হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলাবাসির দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও প্রধান প্রকৌশলী শেখ মো. মহসিন। মঙ্গলবার বিকালে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর- চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজের মান অগ্রগতি দেখভাল করেন সাংসদ ও প্রধান প্রকৌশলী। পরে নির্মাণ কাজের বিভিন্ন দিকসমূহ নিয়ে সেতু পয়েন্টে সেতু নির্মাণকারি চায়না প্রতিষ্ঠানের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু জাফর মো. তৌফিক হাসান, গাইবান্ধার নিবার্হী প্রকৌশলী মো. ছবিউল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফীন খান প্রমূখ।
২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধার সার্কিট হাউজে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর ভিত্তি উদ্বোধন করেন।
কুড়িগ্রামের চিলমারি, রাজীবপুর ও রৌমারী এবং গাইবান্ধা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল হরিপুর চিলমারি তিস্তা সেতুর। ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দে নির্মাণ করার হবে তিস্তা সেতু। এর মধ্যে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে। সড়ক নির্মাণে ব্যয় হবে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী শাসনে ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে ব্যয় হবে ৬ কোটি টাকা। সেতুটিতে পিলার থাকবে ৩০টি এর মধ্যে ২৮টি পিলার থাকবে নদীর ভিতরে অংশে এবং ২টি পিলার থাকবে বাহিরের অংশে। সেতুর উভয়পাশের নদী শাসন করা হবে ৩.১৫ কিলোমিটার করে। সেতুর উভয় পাশে^ সড়ক নির্মাণ করা হবে ৫৭. ৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে চিলমারি মাটিকাটা মোড় থেকে সেতু পর্যন্ত ৭.৩ কিলোমিটার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। চিলমারী অংশে একসেস সড়ক সেতু থেকে কাশিম বাজার পর্যন্ত ৫.৩ কিলোমিটার। এবং গাইবান্ধা ধাপেরহাট থেকে হরিপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার।
উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খান জানান, সেতুর কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে ৩১ স্পেইনের মধ্যে ১৭টি স্পেইন বসানো হয়েছে