// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে তমা খাতুনের (১৭) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তমার নিজ গ্রাম চৌমুহনীতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহত তমার বাবা তাইদুল ইসলাম, মা গোলাপী বেগমসহ স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।
এর আগে ১৪ জুলাই বিকেলে তমার স্বামীর বাড়ি উপজেলার দিঘইর কান্দিপাড়া গ্রামে শয়ন ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই দিন রাতেই তমার বাবা তাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে তমার স্বামী মাহবুব হোসেন মোল্লা(২১) সহ তিনজন আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মানববন্ধনে তমার আত্বীয়স্বজন ও গ্রামের কয়েকশ নারী পুরুষ অংশগ্রহন করে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া তমার পরিবারের সদস্যরা আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী হলেও তাঁরা যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে না থাকেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের কুশমাইল গ্রামের তাইদুল ইসলামের মেয়ে তমা খাতুন একই ইউনিয়নের দিঘইর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে মাহবুব হোসেনকে ভালোবেসে ছয় মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়েতে সম্মতি ছিল না দুই পরিবারের। তবে কিছুদিন আগে মেনে নেয়। বিয়ের পর থেকে তমা স্বামীর বাড়িতেই থাকত।
তমার মা গোলাপী বেগম বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিতে থাকে তারা। আমি ঘরে আসবাব পত্র কিনে দিয়ে ছিলাম। তার পরেও তারা আরও নগদ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমার স্বামী টাকা দিতে না পাড়ায় তারা আমার মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
বাবা তাইদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে নাই। আমরা বারবার পুলিশকে জানানোর পরেও আসামীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে আছে। যার ফলে আমরা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পরেছি।
তিনি আরো বলেন, অতীব দ্রুততার সাথে আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা অব্যাহত আছে। আশা করছি দ্রুতই আসামী গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।