// প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য শুক্রবার জুমার নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করা আবশ্যক। এ নামাজ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে হাদিসে ভয়াবহ ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জুমা নামাজ আদায়ের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ও হুকুম রয়েছে। যে শর্ত ও হুকুম পাওয়া গেলে জুমা আদায় করতে হয়, সবার জন্যই তা জানা জরুরি।
এর অন্যতম হলো- জুমার নামাজ তার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (জোহর নামাজের ওয়াক্তে) আদায় করা। এবং জুমার নামাজের জন্য ইমাম মুয়াজ্জিন ছাড়া কমপক্ষে দুই বা তারও বেশি নামাজির উপস্থিতি আবশ্যক।
এছাড়াও আরও বেশ কিছু শর্ত রয়েছে জুমার নামাজ আদায় সহী হওয়ার জন্য। তবে কেউ যদি কোনো কারণে জুমার জামাতে উপস্থিত হতে না পারে, তবে সে জোহরের নামাজ আদায় করবে।
হাদিসে এসেছে, ইবনে মাসঊদ (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার এক রাকআত পেয়ে যায়, সে ব্যক্তি যেন আর এক রাকাত পড়ে নেয়। কিন্তু যে (দ্বিতীয় রাকআতের) রুকু না পায়, সে যেন জোহরের ৪ রাকআত পড়ে নেয়।’ (ইবনে আবী শাইবা, ত্বাবারানী, বায়হাকী, আলবানী : ৬২১)
কোনও কারণে জুমার জামাতে অংশ নিতে না পারা ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে জোহর নামাজ আদায় করেন, তাহলে তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি থাকলে তিনি জোহরের জামাত আদায় করতে পারবেন কিনা-এমন প্রশ্ন করেন অনেকে। যেমন, একজন জানতে চেয়েছেন-
‘মোমেনশাহীর দুই ব্যক্তি ঢাকায় চাকরি করেন। তারা শুক্রবার সকাল ১১ টায় মোমেনশাহীর উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। রাস্তায় জুমার নামাজ পড়তে পারেননি। বেলা ৩টায় বাড়ি পৌঁছে দু’জন মিলে জামাতের সাথে যোহরের নামাজ আদায় করেছেন। প্রশ্ন হল, তাদের জন্য জামাতের সাথে জোহরের নামাজ পড়া ঠিক হয়েছে নাকি একাকী পড়া উচিত ছিল?’
এমন প্রশ্নে উত্তরে আলেমরা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে জোহরের নামাজ জামাতে আদায় করা ঠিক হয়েছে। তবে তাদের জন্য যোহরের নামাজ একাকী পড়া উত্তম ছিল। কারণ জুমার জামাত না পেলে জোহর একাকী আদায় করা উত্তম। -(কিতাবুল আসল ১/৩৬৫; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৭৩; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৪; হাশিয়াতুত তহতাবী আলালমারাকী ২৮৪; রদ্দুল মুহতার ২/১৫৭)