// সঞ্জু রায়, বগুড়াঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় সিরাজগঞ্জ এর আয়োজনে বগুড়া অঞ্চলে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দিনব্যাপী শহরের পর্যটন মোটেলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএডিসি’র চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ, এনডিসি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বোরো ধান চাষে প্রচুর পানি সেচ দিতে হয়। এতে কৃষকের খরচ বাড়ে। তেমনি ভূর্গভস্থ পানির ওপর চাপ পড়ে। যেহেতু আমন বর্ষাকালের ফসল, তাই এই সময়ে উচ্চফলনশীল জাতগুলো চাষে বেশি সুবিধা পাবেন কৃষকরা। আবার স্বল্প সময়ের জাত হওয়ায় কৃষক দ্রæত আমন ধান ঘরে তুলতে পারবেন। একই সঙ্গে ওই জমিতে সরিষা বা অন্য ফসল চাষ করার সুযোগ পাবেন তারা। এছাড়াও আমনের ফলন বাড়ানো লক্ষ্যে কৃষকরা যাতে সময়মতো বীজ ও চারা পায় সেজন্য বিএডিসি কাজ করবে বলে জানান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ।
ব্রি এর মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান ও সিএসও ড. খোন্দকার মো: ইফতেখারুদ্দৌলা এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রি এর পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো: আব্দুল লতিফ। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিএই সরেজমিন উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, বিএডিসি’র সদস্য পরিচালক কৃষিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, ব্রি এর পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, ডিএই বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফিউদ্দিন আহমদ।
বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও জয়পুরহাটের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা, ডিলার, মিলার ও কৃষক প্রতিনিধিসহ প্রায় ৩’শ মানুষের অংশগ্রহণে কর্মশালায় বগুড়া অঞ্চলের চার জেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা আমনসহ বিভিন্ন ফসলের গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। পরে প্রান্তিক কৃষকরা আমন ধান রোপনের ক্ষেত্রে নিজেদের সংকট ও সম্ভাবনা তুলে ধরেন। এ ছাড়া কৃষকরা এ জন্য সময়মতো ও ন্যায্যদামে বিএডিসি থেকে বীজ ও ধানের চারা পাওয়ার দাবি জানান।