// ইয়ানূর রহমান : যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার বাগুড়ীতে সোহাগ হোসেন নামের এক কথিত চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে আবারো চাঁদাবাজির অভিযোগ মামলা হয়েছে। এ চাঁদাবাজির অভিযোগে সাধারণ মানুষ ও ব্যাবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর বৈশাখ মাস হতে আষাঢ় মাস পর্যন্ত যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার বাগুড়ীতে আম বাজার বসে। এই আম বাজারে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আম ব্যবসায়ী সহ হাজার হাজার ক্রেতাসাধারণের সমাগম ঘটে। সেই সুবাদে স্থানীয় বাগুড়ী গ্রামের আব্দুল গনির স্ত্রী নুর জাহান নিজ বাড়িতে খাবারের হোটেলের ব্যবসা করে জীবিকা সংগ্রহ করেন। কিন্তু হতাৎ তার এই ক্ষুদ্র হোটেল ব্যাবসায় বাদসাধে একই
গ্রামের আব্দুর সামাদের ছেলে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ সোহাগ হোসেন। সে অসহায় হোটেল ব্যাবসাী নুর জাহানের কাছে প্রতিদিন ২ হাজার টাকা করে মাসে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। নইলে হোটেল ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। একই সাথে হোটেলে খাওয়ার নাম করে ঢুকে মাদকদ্রব্য রেখে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। এমতাবস্থায় অসহায় ক্ষুদ্র হোটেল ব্যাবসায়ী নুর জাহান স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বরদের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরাহা না হওয়ায় যশোর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
এছাড়াও চাঁদাবাজ সোহাগ হোসেন সম্প্রতি বাগআঁচড়া বাজারের আব্দুল্লা সুইটর্সের সত্বধীকারি শিমুল হোসেনের কাছেও ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে। এসময় সোহাগ হোসেনের সহযোগী ৩ এসে নিজেদেরকে এক বড় মাপের নেতার লোক দাবি করে ব্যবাসয়ীদের কে বিভিন্ন ভয়ভীতি
দেখায়। ব্যবসায়ীরা নিরুপায় হয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে চাঁদাবাজ সোহাগ হোসেন কে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। পরে ক্ষুব্ধ ব্যবাসয়াীরা স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বদের দারস্থ হলেও কোনো সুরহা হয়নি। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে
চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা চাঁদাবাজ সোহাগ সহ তার মদদদাতাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে। ধুর্ত সোহাগ হোসেন ও তার দোসররা এহেন কর্মকাণ্ড আর যাতে না করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
সূত্র জানায়, এই চাঁদাবাজ সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে একধিক চাঁদাবাজি মামলা যশোর ও সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। যার কয়েকটি মামলায় সে হাজতবাস করেছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসী সোহাগ ও তার মদদদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা
নির্বাহী অফিসার, সহকারী পুলিশ সুপার নাভারণ সার্কেল ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামানা করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোহাগ হোসেনের মোবাইল ফোনে কয়েকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিপ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।