;; মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে স্বামী তারেক মিয়া (২২) ও তার পরিবার স্ত্রীর সঠিক দায়িত্ব পালন ও ভরণ-পোষন না করায় মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিমলা বেগম (১৮)। বিজ্ঞ আদালত সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন। সুত্রে জানা গেছে- একই ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের মোঃ জলিল মিয়ার পুত্র তারেক মিয়া (২২) এর সাথে নতুন বস্তি এলাকার আলী হায়দার এর কন্যা শিমলা বেগম এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। পরবর্তীতে উভয় পরিবার, স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনদের মধ্যস্থতায় উভয়ের বৈধ বিবাহের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। শেরপুর বাজারস্থ একজন কাজীর মাধ্যমে ইসলামী শরাশরিয়তের বিধান মোতাবেক কতেক স্বাক্ষীর সম্মুখে দুই লক্ষ টাকা মোহরানা সাব্যস্থ্য করিয়া হিজাব কবুল পড়িয়া বিবাহ হয়। তখন শিমলার বয়স সামান্য কম থাকায় কাজী, তার স্বামী ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হলেও ভুক্তভোগীকে নিকাহনামার কপি প্রদান করা হয়নি। কিছু দিন ভাল ভাবে সংসার করলেও প্রেমিক স্বামী তারেক ও তার পরিবার সিএনজি গাড়ী ক্রয় করার জন্য তার পিতার কাছে যৌতুক দাবী করেন। এ সময় তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে ২ মাসের গর্ভাবস্থায় ঘর হইতে বাহির করিয়া দেন। বর্তমানে তার পেটে ৮ মাসের সন্তান নিয়ে পিত্রালয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ভুক্তভোগী শিমলা বেগম জানান- স্বামীর বাড়ীতে সর্বমোট ১মাস সংসার করেছি। ৪ বার হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। স্থানীয় ভাবে বার বার আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হইয়া ন্যায় বিচারের আশায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন আমার ও আমার পেটের সন্তানের কোন প্রকার খোজখবর ও নেননি। শিমলার মা সাকেরা বেগম একই অভিযোগ করে বলেন- ছেলেটি আমার মেয়ের ভবিষ্যৎটা অল্প বয়সে শেষ করে দিয়েছে। ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। এ ব্যপারে জানতে চাইলে স্বামী তারেক ও তার মা নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বলেন- অল্প বয়সে তাদের বিয়ে হয়েছে। পরিবার মেনে নিয়েছে। তাদের উভয়ের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হলে ২টি বৈঠকে কোন সমাধান হয়নি।