ছয়বার ভোটাভুটি হলো। তারপরেও স্পিকার নির্বাচিত হতে পারলেন না ম্যাকার্থি। রিপাবলিকানদের একাংশের বিদ্রোহ চলছে। মার্কিন কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের অনৈক্যের ছবি আবার সামনে এলো।
ট্রাম্পের দলে মধ্যপন্থি ও কট্টরদের লড়াই শেষ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই। তাই স্পিকার পদে দলের প্রার্থী ম্যাকার্থিও জিততে পারছেন না। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) তিনবার এবং বুধবার (৪ জানুয়ারি) তিনবার ভোটাভুটির পরেও নয়।
অন্তত ২০ জন সদস্য ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে রিপাবলিকান বায়রন ডনাল্ডসকে ভোট দিয়েছেন। বিক্ষুব্ধদের পাল্লা আরো ভারি হওয়ার আশঙ্কা করছেন দলের নেতারা।
বুধবার যে তিনবার ভোটাভুটি হয়েছে, তাতে ম্যাকার্থি পেয়েছেন ২০১টি ভোট। ডনাল্ডস ২০টি ভোট এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জেফরিস ২১২টি ভোট। স্পিকার হতে গেলে ২১৮টি ভোট পেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) আবার ভোটাভুটি হবে। যতক্ষণ কেউ ২১৮ ভোট পেয়ে স্পিকার হতে না পারছেন, ততক্ষণ ভোটাভুটি চালু থাকবে। ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, বুধবারের ভোট ফলপ্রসূ হয়নি। তবে ভবিষ্যতে ভোটে তিনিই জিতবেন। অর্থাৎ, তিনি আশা ছাড়েননি।
বুধবার ভোটের আগে ও পরে তিনি সহযোগীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। কৌশল তৈরি করেছেন। সেই কৌশলে কাজ হবে কি না তা বৃহস্পতিবার বোঝা যাবে। ট্রাম্পও আবেদন জানিয়েছিলেন, সকলে যাতে এক হয়ে ম্যাকার্থিকে ভোট দেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
যতক্ষণ কেউ ২১৮ ভোট পেয়ে স্পিকার হতে না পারছেন, ততক্ষণ ভোটাভুটি চালু থাকবে।
যতক্ষণ কেউ ২১৮ ভোট পেয়ে স্পিকার হতে না পারছেন, ততক্ষণ ভোটাভুটি চালু থাকবে।
ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনো মধ্যপন্থি রিপাবলিকান যদি স্পিকার হওয়ার জন্য লড়েন, তাহলে তারা সমর্থন করতে পারে। তবে তাকে বাইডেনের উন্নয়ন পরিকল্পনা সমর্থন করতে হবে।
বুধবার নিউ ইয়র্ক পোস্টের হেডলাইন ছিল ‘গ্রো আপ’। কারণ, দুইজন রিপাবলিকান সদস্য ম্যাকার্থির বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বলেছিলেন, ‘আগে বড় হও’, তারপরেই ওই শিরোনাম। আর বাইডেন জানিয়েছেন, এই অচলাবস্থা শেষ হোক। গোটা বিশ্ব আমেরিকার দিকে তাকিয়ে।