ইয়ানূর রহমান : যশোরে স্ত্রী এস আই শাহজাদীকে যৌতুক না পেয়ে হত্যা চেষ্টাকারী ঝিনাইদহের পিবিআই ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ হেডকোয়াটার্স। বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করা ও অসদাচরণে অপরাধে এডিশনাল ডিআইজি বেলাল উদ্দিন সাক্ষরিত এক স্মারকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে তাকে রংপুর ডিআইজি অফিসে ক্লোসড করা হয়েছে ।
আহত এসআই শাহাজাদী আক্তার বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত আমির আলীর মেয়ে। তিনি বর্তমানে যশোর সদর কোর্ট জিআরও হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অন্যদিকে, ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের সাত্তার ফকিরের ছেলে। তিনি যশোরের
সাজীয়ালী ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন।
এরআগে, গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে কামরুজ্জামান তার স্ত্রীর উপর হামলা চালায়।
এসময় শাহাজাদীকে ছুরিকাঘাত করে হাতে ও পেটে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। শহরব্যাপী আলোড়ন শুরু হয়। বিষয়টি নজরে আসে পুলিশের উর্দ্বোতন মহলের। তারই প্রেক্ষিতে শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
এ বিষয়ে এস আই শাহাজাদী আক্তারের অভিযোগ , কামরুজ্জামানের সাথে তার ২০০০ সালে তাদের বিয়ে হয়। দুইটি সন্তান রয়েছে। প্রায়ই তার উপর যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন শুরু করে। এর জের কাটনে না কাটতেই পরকিয়া করে সানজিদা নামের এক নারীকে বিয়ে করে কামরুজ্জামান। এরপর তার সংসারে আরও অশান্তি নেমে এসেছে।
কামরুজ্জামানের নানা অপকর্মের সব তথ্য প্রমান রয়েছে তার কাছে। এজন্য কামরুজ্জামান তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি এ বিষয়ে উর্দ্বোতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষেয় জানতে চাইলে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সামরিক বরখাস্তের চিঠি তিনি এখনো হাতে পাননি। তবে বিভাগীয় ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষ নিতেই পারেন। তিনি আরো জানান, প্রায় ১২ টি বছর শাহাজাদী তার বেপরোয়া জীবন যাপনের কারণে আমার সংসারের দুটো সন্তান মায়ের ভালোবাসা থেকে
বঞ্চিত। সন্তানকে আমি মায়ের স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখছি। এমনকি আমার পরিবারের লোকজন তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ । তাকে শুধরানোর চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সুপথে ফিরে আসেনি। তার ওপর নির্যাতনের কোন ঘটনা ঘটেনি ঐদিন আমি কোথায় ছিলাম তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।