.কামরুল হাসান টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ঃ
অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বেড়ে যায় ভোগান্তি। যার কারণে এ মহাসড়কে ধীরগতিতে চলাচল করে ছোট-বড় যানবাহন। ফলে যানজটেরও সৃষ্টি হয়। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর থেকে সকাল ৯ টায় পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দুই লেন থাকায় এই অংশের কোথাও কোথাও থেমে থেমে যানযটের সৃষ্টি হয়েছিল। এতে করে ঘনকুয়াশায়য় ভোগান্তি পড়েন যাত্রী ও চালকরা।সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় থেমে থেমে যানযট ও ধীরগতি সৃষ্টি হয়। এছাড়াও ভোর থেকে বেলা ৯টা পর্যন্ত এ মহাসড়কে পণ্য ও মালবাহী পরিবহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় আরও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তবে, সকাল ৯ টার পর যানচলাচল ধীরগতি ও পরে বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।বঙ্গবন্ধু সেতু ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাত থেকে অতিরিক্ত ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমার ৪০ মিটার নিচে হওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে মধ্যে রাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ও সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৫টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াশা কিছুটা কমে আসায় সেতুতে ৭টি বুথ চালু করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। ফলে মহাসড়কে যানজট ধীরে ধীরে কমে যায়।এদিকে, ঘন কুয়াশা কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বিকল্প এলেঙ্গা-ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো চলাচল করে। এতে করে এ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাথাইলকান্দি, সিরাজকান্দি, ন্যাংড়া বাজার, মাটিকাটা, গোবিন্দাসী স্কুলরোড ও ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট দেখা দেয়। ফলে স্থানীয়রা পরিবহন ও পথচারীরাও অনেকটা ভোগান্তিতে পড়ে।এলেঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হাসান জানান, ঘনকুয়াশার কারণে সেতুর কয়েকটি টোলবুথ বন্ধ থাকে। যার কারণে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব এলাকায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়। এতে করে বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা পর্যন্ত কোথায় কোথাও যানজট দেখা যায়। এসময় অনেক যানবাহন আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করে। পরে সকাল ৯ টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। যানজট নিরসনে কাজ করে পুলিশ।বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, ঘন কুয়াশার কারণে রাত থেকে সেতুর টোল বুথগুলোর ৫টি টোল বুথ বন্ধ রাখা হয়। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। ফলে বঙ্গবন্দু সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত কোথাও কোথাও যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল ও থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘন কুয়াশা কমে গেলে টোলের বুথ খুলে দেয়ার পর মহাড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে।