দিনাজপুরে শীতার্ত মানুষের পাঁশে দাঁড়ালেন সেনাবাহিনী প্রধান

সঞ্জু রায়: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শীতকালীন প্রশিক্ষণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর ১১ ও ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা এলাকাটি পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ঘোড়াঘাট ডুগডুগীহাট কলেজ ও ফুলবাড়ীর চকচকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উষ্ণতার পরশ হিসেবে প্রায় ১৮’শ দুস্থ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন যাতে হাসি ফুঁটেছে হাজারো শীতার্ত মানুষের মুখে।
শীতকালীন মোহড়া পরিদর্শন ও শীতবস্ত্র বিতরণেরকালে সেনা প্রধান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আভিযানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘ প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন চলছে। সেই মোতাবেক সেনাবাহিনী শীতকালীন মোহড়াতে নতুন সমরাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ সময়ে যেহেতু আমরা সাধারণ মানুষের মাঝে আসছি তাই জনকল্যানমূলক কাজও করার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি দক্ষ, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনীরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখন্ডতা রক্ষার পাশাপাশি দেশ গঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করে সুখ্যাতি ও প্রভূত সুনাম অর্জন করেছে।সেনাবাহিনী তার জনকল্যাণমূলক কাজের অংশ হিসেবে অসহায়, দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিনাজপুর অঞ্চলের অসহায়, দুঃস্থ ও গরীব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রশিক্ষণ এলাকায় অসহায়, দুঃস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণের এই মানবিক কার্যক্রম সর্বস্তরের মানুষের মাঝে অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে’।

এ সময় সেনাপ্রধান, সৈনিকদের মনোবল উন্নত রেখে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জনে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন।

এই আয়োজনে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া মেজর জেনারেল মোঃ খালেদ-আল-মামুনসহ এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ ফয়জুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সেনাপ্রধানের নির্দেশে প্রতিবছরের মতো এবারও সেনাবাহিনী শীতকালীন প্রশিক্ষণ চলাকালীন স্থানীয় দুস্থ ও গরিব-দুঃখীদের মাঝে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এছাড়াও সেনাবাহিনী বিনামূল্যে ‘কৃষক বান্ধব ভেটেরিনারি সেবা ক্যাম্পেইন’ হিসেবে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির বিনামূল্যে টিকা এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে। পাশাপাশি খামারীদের গবাদিপশু পালন, ব্যবস্থাপনা ও খামার স্থাপন সংক্রান্ত কারিগরি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শনের সময় সেনাসদর ও স্থানীয় ফরমেশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্যসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।