নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামে অসহায় দরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ কার্ড নিজের মা কাজলী বেগমের নামে বরাদ্ধ দিয়েছেন নাটোর জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হুমাইয়রা জাহান রিয়া। বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কাজলী বেগমকে ভিজিএফ কার্ড প্রদানের আবেদনে লেখা হয়েছে হুমাইয়রা জাহান রিয়ার পিতা রব্বেল প্রামানিক একজন দিন মুজুর। তাদের বসবাসের ঘর পাট কাঠির তৈরী। তাদের মোট জমির পরিমান ৫শতকের নিচে। তাদের পরিবারে ১৫ থেকে ১৮ বছরের একটি অবিবাহিত মেয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকোড়ি গ্রামে নাটোর জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হুমাইয়রা জাহান রিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাদের তিন কক্ষের সেমি পাকা একটি নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। তার পিতা রব্বেল প্রামানিক কোন দিন মুজুর নন। তিনি বেশ কয়েক বছর থেকে প্রবাসে রয়েছেন। কাজলী বেগম নিজে এই প্রতিবেদককে জানান, তার স্বামী তিন বছর থেকে সৌদি আরবে দারোয়ানের চাকুরী করেন এবং তাদের তিন কক্ষের পাকা বাড়ি রয়েছে। তাদের দুটি সন্তান। মেয়ে জেলা পরিষদ সদস্য ও ছেলে বাড়ি থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরের বনপাড়া সেন্ট যোসেফ স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখায় পড়ালেখা করেন। অসত্য তথ্য দিয়ে কেন অসহায় দরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ কার্ড নিজে পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন জানতে চাইলে কাজলী বেগম বলেন, তার স্বামী আর বিদেশ থেকে বাড়ি চলে আসবে তাই এমন আবেদন করেছেন। বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন বলেছেন, আবেদনের ছবি দেখেই তিনি বুঝতে পারেন এটা জেলা পরিষদের সদস্য হুমাইরা জাহান রিয়ার মা কাজলী বেগম। তাই আবেদনটি তিনি অফিসে রেখে দিয়েছেন। নাটোর জেলা পরিষদের ১, ২ ও ৩ নং এলাকার নির্বাচিত সদস্য হুমাইরা জাহান রিয়া বলেছেন, সব নেতা জনপ্রতিনিধিরাই সুযোগ সুবিধা পেলে নিজের লোককে দেয়। আমি ৫০টি কার্ড পেয়েছিলাম। বেশির ভাগই সাধারণ মানুষকে দিয়েছি। মাত্র সাতটি কার্ড আমার মাসহ কাছের মানুষকে দিয়েছি।