ঃ মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার কার্যালয়ে খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ বন্ধে মিল মালিকদের করণীয় শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ ৬ ডিসেম্বর সকালে। শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৯ টি মশলার মিলের মালিকের উপস্থিতিতে মিল মালিকদের করণীয় প্রসঙ্গে উক্ত সভায় মিল মালিকরা জানান যে, তারা কাস্টমারদের চাহিদা অনুসারে নি¤œ মানের মশলার সাথে রং মিশ্রণ করেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন বলেন- মশলার সাথে রং মিশ্রন করা আইন অনুসারে অপরাধ এবং রং মিশ্রণের ফলে ভোক্তাদের মরণব্যাধি রোগ হয়ে থাকে। এছাড়াও সহকারী পরিচালক ব্যবসায়ীদের আইন মেনে ব্যবসা করা, মশলাতে রং মিশ্রণ না করা, ব্যবসায়ীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইন্সেন নেওয়া এবং বিক্রয় ভাউচার প্রদান করা নির্দেশনা প্রদান করেন। তাদের মিল থেকে মশলা সংগ্রহ করে এবং তাদের দ্বারা ভাঙ্গানো মশলা খুচরা দোকান থেকে সংগ্রহ করে পরিক্ষা করে রং এর উপস্থিতি পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে সহকারী পরিচালক তাদেরকে এই অনৈতিক কাজ থেকে ফিরে আসতে বলেন। সকল ব্যবসায়ী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যারা এই অন্যায় কাজটি করেন, তারা আর করবেন না। জন স্বার্থে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কর্তৃক খাদ্য পণ্যের সাথে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ বন্ধে আরো কঠোর হবে। উল্লেখ্য- গত ৫ ডিসেম্বর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন এর নেতৃত্বে ও র্যাব-৯ ফোর্সে এর সহযোগিতায় শ্রীমঙ্গল উপজেলার সোনার বাংলা রোড ও নতুনবাজারের বিভিন্ন মশলার মিলে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত তদারকি অভিযানে মশলার মিলে রং পাওয়া যায়। মিল মালিকদের সাথে কথা বললে, মশলার সাথে রং মিশানো বিষয়টি অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে রং মিশানোর কথা তারা স্বীকার করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মোবাইল টিমকে মশলার মিল মালিকরা জানান, শ্রীমঙ্গলে প্রায় সব মশলার মিলে নি¤œ মানের মরিচের সাথে রং মিশ্রণ করা হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত রং মশলাতে মিশ্রণের অপরাধে সোনার বাংলা রোডে অবস্থিত রকিব মশলার মিলকে ২০ হাজার টাকা, নতুন বাজারে অবস্থিত মাসুম মশলার মিলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও তা আদায় করা হয়।