সঞ্জু রায়, বগুড়া: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, কারা অভ্যন্তরে নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম একটি দিন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যার পর বাঙালী জাতিকে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির ৪ জন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে জেল হত্যা দিবসে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শহরের টেম্পল রোডের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। সভায় মজনু আরো বলেন, যারা ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারী তারাই ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকান্ডেরও পরিকল্পনাকারী। এই হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য ছিল দেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। স্বাধীনতার পরাজিত শত্রæরাই আবারো দেশে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তারের চেষ্টা করছে। এই সব ষড়যন্ত্রকারীদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যেতে হবে মর্মে তিনি সকলকে সদা ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনে জাতির পিতার সহোচর হিসেবে জাতীয় ৪ নেতার নানা ত্যাগ ও বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। এছাড়াও সভায় পর্যায়ক্রমে আরো বক্তব্য রাখেন ডাঃ মকবুল হোসেন, টি জামান নিকেতা, আবুল কালাম আজাদ, এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মুকুল, রেজাউল করিম মন্টু, মঞ্জুরুল আলম মোহন, একেএম আসাদুর রহমান দুলু, সাগর কুমার রায়, এ্যাডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনু, মনসুর রহমান মুন্নু, সুলতান মাহমুদ খান রনি, আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েল, এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম আক্কাস, নাসরিন রহমান সীমা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনিসুজ্জামান মিন্টু, মাশরাফি হিরো, আনোয়ার পারভেজ, তপন চক্রবর্তী, রুহুল মুমিন তারিক, এস এম শাহজাহান, খালেকুজ্জামান রাজা, আবু সেলিম, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম দুলু, এ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম নাফরু, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আবু ওবায়দুল হাসান ববি, অধ্যক্ষ আহসানুল হক, আলমগীর হোসেন স্বপন, কামরুল হুদা উজ্জ্বল, গৌতম কুমার দাস, আব্দুস সালাম, কামরুল মোর্শেদ আপেল, আলমগীর বাদশা, শুভাশিস পোদ্দার লিটন, সাজেদুর রহমান শাহিন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, এ্যাডভোকেট লাইজিন আরা লিনা, ডালিয়া নাসরিন রিক্তা, রাশেকুজ্জামান রাজন, সুজিত কুমার দাস, এস এম মনিরুজ্জামান সাব্বির প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গ এবং জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।