নাটোর প্রতিনিধি
স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন ছেলেকে লিখে দিয়েছেন সমস্ত জমি। দুই মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন। পারিবারিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল তিন ছেলে প্রত্যেকেই একমাস করে মা-কে খাওয়াবে । ছোট ছেলের কাছে এক মাস রাখার পর আর বড় ছেলে কথা মত তাকে নিয়ে যায়নি ।তাই ছোট ছেলে দুই দিন পার হওয়ার পর বিরক্ত হয়ে রাতের আঁধারে ওই বৃদ্ধ মা-কে রেখে যায় অন্ধকার রাস্তায়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছুটে যান। তারা আপাতত সমাধান করলেও হয়নি স্থায়ী সমাধান। ওই মা-এখন সকলের,কাছেই হয়েছেন বোঝা। ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধার নাম তারাবানু (১০৭)। তিনি সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়,ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত (বুধবার) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাস্তায় মা-কে ফেলে যায় ছোট ছেলে আজাদ। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি মধ্যরাত অবধি বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বড় ছেলে মানিক,মেঝ ছেলে হানিফ বা ছোট ছেলে আজাদ কেউই ওই বৃদ্ধকে খাওয়াতে রাজি হয়নি। অনন্যোপায় হয়ে বড় ছেলের ঘরের নাতির কাছে ১৫ দিন খাওয়াতে আহবান করে গভীর রাতে বাসায় ফিরেছেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,স্বামী মারা,যাওয়ার পর থাকা দুই বিঘা সম্পত্তি ওই তিন ছেলেদের রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। এখন ওই বৃদ্ধাই সকলের কাছে যেন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জ্বল হোসেন জানান,বৃহস্পতিবার তিনি ঘটনাস্ৎলে গিয়েও কোন সমাধান করতে পারেননি।
তিনি দাবী করেন,পুরো
ইউনিয়নের মধ্যে ওই তিনভাইয়ের আচরণ সবচেয়ে রুক্ষ। ওই বৃদ্ধার সুষ্ঠু একটি ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান,বিষয়টি তিনি শুনেছেন। অভিযোগ পেলে ওই ছেলেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।