জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষ নয়, বরং একটি সুনির্দিষ্ট জাতীয় সনদ তৈরিই এর মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। শনিবার (০৩ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির সমমনা ১২ দলীয় ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপে বসার আগে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সংলাপে সূচনা বক্তব্যে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আলী রীয়াজ জানান, কমিশনের সামনে ১৩৬টি প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে আলোচনাগুলো শুধু এই প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং ১২ দলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে যে কোনো প্রস্তাব ও পরামর্শকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘দলগুলোর মধ্যে মত পার্থক্য থাকবে। জাতীয় স্বার্থে নেতাকর্মীরা যেমন নিজ নিজ অবস্থান থেকে কথা বলবেন, আবার ছাড় দেওয়ারও মানসিকতা থাকতে হবে। সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব না হলেও রাষ্ট্র গড়ার ক্ষেত্রে একমত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন কারও প্রতিপক্ষ নয়। আমাদের উদ্দেশ্য কাউকে চাপে রাখা নয়, বরং সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য রূপরেখা দাঁড় করানো।’
এ সময় বিএনপির সমমনা ১২ দলীয় জোটের পক্ষে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘গত দেড় দশক ধরে গণতন্ত্রকামী দলগুলো গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি নতুন পথ নির্মাণ করা সম্ভব। তবে অনির্বাচিত সরকারের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি দীর্ঘায়িত হওয়া উচিত নয়।’