মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায়কমিটির লোকজনের সাথে বিরোধের জের ধরে হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজী আব্দুর রহিম (৭০)-সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে মৃত্যু বরণ করেছেন। আজ ৩ মে বাদ আছর মৃত: হাজী আব্দুর রহিম-কে শেরপুরস্থ তার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। গুরুতর আহত আব্দুর রহিম-কে আহত অবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ( রেজিনং- ৪০৫০৩) ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় তাকে সিলেট ওয়েসিস হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১ মে- ৩.৩০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী হাজী আনহার আলী জানান-আহত হাজী আব্দুর রহিমমৃত্যুবরণ করার পর তার লাশ ময়না তদন্ত করতে বাঁধা সৃষ্টি করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে রাত অনুমান দেড় ঘটিকায় পুলিশের সহযোগীতায় ও পুলিশ প্রহরায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ৩ মে শনিবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে আমাকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায়।নিহত হাজী আব্দুর রহিম-এর স্ত্রী খেলা বেগম ও তার ছেলে মাসুম আহমদ বলেন- ঘটনার পর মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু, পুলিশ কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন কনে নি। এ ঘটনায় হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবী জানাচ্ছি।জানা গেছে-জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসার সামনে মাটি ভরাট ও পানির রাস্তা বন্ধ করার ঘটনায় কমিটির লোকজনের সাথে প্রতিবেশীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গত ২২ এপ্রিল দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকার দিকেমাদ্রাসা‘র প্রিন্সিপালসহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথেচরম উত্তেজনাতৈরি হয়। উভয়পক্ষের ইট-পাটকেল, ধস্তা-ধস্তির একপর্যায়েহাজী আব্দুর রহিম শারিরিক ও মানষিক ভাবে আঘাপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। বিষয়টি স্থায়ীভাবে সমাধান-এর স্বার্থেগত ২৪/০৪/২০২৫ইং মীমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু-ঐ দিন অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল পুনরায় জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসায়কমিটির লোকজনের সাথে স্থানীয় চান মিয়াগংদের সাথে চরম সংঘর্ষে রুপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ব্যর্থ হলে যৌত্রবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে চান মিয়াসহ আরো ৩জনকে গ্রেফতার করে।
