চাহিদামত যৌতুক না দেয়ায় চামেলী খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নিহত চামেলী খাতুনের লাশ নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খাকসা গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভাধীন মালোপাড়ার ভাড়া বাড়িতে তাকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত চামেলী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার খাকসা তেঁতুলতলা গ্রামের চাঁদ প্রামাণিকের মেয়ে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার রহনপুর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে মিলনের স্ত্রী ।
নিহতের বড় বোন স্বপ্না খাতুন জানান, প্রায় দেড় বছর আগে মিলনের সঙ্গে চামেলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার শিবতলা এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতো। বিয়ের সময় তারা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনাসহ প্রায় পৌনে দুই লাখ টাকা দিয়ে মিলনকে একটি ইজিবাইক কিনে দেন। এরপরও মিলন যৌতুকের জন্য চাপ দিলে গত ছয় মাস আগে গরু বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। কিছুদিন যাবৎ আরো টাকা এনে দেয়ার জন্য চামেলীর উপর অত্যাচার শুরু করে মিলন। বুধবারও মিলন টাকা এনে দিতে চামেলীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। নির্যাতনে চামেলী মারা গেলে মিলন তাদের ভাড়া বাড়ির শয়ন কক্ষে মৃত চামেলীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের তীরের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। প্রাথমিকভাবে মিলন ও তার পিতা-মাতা প্রতিবেশী ও পুলিশকে বিভ্রান্ত করে চামেলী আত্মহত্যা করেছে মর্মে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু নিহতের থুতনী, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহৃ থাকায় স্বজনদের সন্দেহ হয় বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুর রহিম জানান, যেহেতু হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তাই সেখানকার পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ওসি মোজাফফর হোসেন জানান, বৃস্পতিবার চামেলীর পিতা থানায় চামেলীর স্বামী মিলন, মিলনের পিতা তরিকুল ও মা মর্জিনাকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর আসামী মিলনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্য আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।