ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো সংঘর্ষে ছাত্রলীগ সভাপতি রনি, রাতুল ও শুভ।
এঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনিসহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করেছে। হামলায় পৌর যুবলীগের সভাপতিসহ ৩ জনের অফিস ,ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে একটি দোকানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বুধবার সকাল থেকেই দফায় দফায় এই হামলা ও পাল্টা-হামলার ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনের একটি দোকানে ছাত্রলীগ সভাপতি রনির ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অফিস ছিল। এই দোকানের মালিকানা স্বত্ত্ব নিয়ে মালিক পক্ষের দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। রনি এই দ্বন্দ্বনিরসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও দ্বন্দ্ব এখনও নিরসন হয়নি বলে তিনি জানান। এই অবস্থায় মালিকদের একটি পক্ষ শুভ আরেক গ্রুপের সহযোগিতা নিয়ে বুধবার সকালে রনির অফিসে তালা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এঘটনায় সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন শুভ এবং যুবলীগ কর্মী আকমলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ নেতা অবুঝ ফোনে অভিযোগ করেন, রনির ছুরিকাঘাতে রাতুল ও শুভ গুরুতর আহত হয়েছে। রাতুলকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রথমে পাবনায় ও পরে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পৌর যুবলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব অভিযোগ করেন, তার বাড়ির সামনের দোকান- অফিস ও গাড়ি ভাংচুর এবং যুবলীগ নেতা কালামের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পাবনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বলে ঈশ্বরদী থানা জানিয়েছেন।