পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নের জন্য নাম পাঠানো হয়েছে শারমিন জাহানের। দলের কোনো পদে না থাকা শারমিন আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যও না। তবে তার স্বামী মোশারেফ হোসেন বিগত নির্বাচনে এ ইউনিয়নে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। সে কারণে এবার মনোনয়ন পাবেন না বুঝেই মোটা অঙ্কের লেনদেনে স্ত্রীকে কৌশলে মনোনয়ন পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর শারমিন জাহানের মনোনয়ন বাতিল করার দাবি জানিয়ে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবরে চিঠি দিয়েছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, আমড়াগাছিয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া শারমিন জাহানের স্বামী মো. মোশারেফ শরীফ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। মোশারেফ শরীফ ওই নির্বাচনে পরাজিত হন। ৭ মার্চ উপজেলা আওয়ামী লীগ থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো পাঁচজন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় শারমিন জাহানের নাম পাঠানো হয়। এরপর দলীয় মনোনয়ন পান শারমিন জাহান। শনিবার রাতে শারমিনের মনোনয়ন প্রকাশের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নেতাকর্মীরা মনে করেন এতে করে বিদ্রোহীদের উৎসাহিত বা পুরস্কৃত করার নজির সৃষ্টি হবে, যা ভবিষ্যতে দলের জন্য ক্ষতিকর।
আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মিয়া বলেন, ২০১৬ সালে আমি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। তখন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোশারেফ শরীফ বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আমি পরাজিত হই। নির্বাচনে আমি দ্বিতীয় ও মোশারেফ তৃতীয় হন। আমাকে দল মনোনয়ন না দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর স্ত্রীকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। শারমিন জাহানের দলীয় কোনো পদ নেই। তিনি রাজনীতিও করেন না।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম রাজু বলেন, আমি দলের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। একটি মহল মোশারেফ দলীয় মনোনয়ন পাবেন না জেনে কৌশলে তার স্ত্রী শারমিনের নাম প্রার্থীর তালিকায় পাঠান। তালিকায় শারমিনের স্বামীর নাম উল্লেখ না করে বাবার নাম দেওয়া হয়। শারমিনের বাবা শামীম আখতার জামায়াত করতেন। আমরা শারমিনের মনোনয়ন বাতিল দাবি করছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক মাতুব্বর বলেন, শারমিন জাহানের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে দলের সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছি।’