গত আমন মৌসুমে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও নানাবিধ রোগ বালাইলের কারণে কৃষকরা ঘরে ফসল তুলতে পারেনি। হতাশা এবং লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ধার দেনা করে ইরি বোর চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনেকের ধারণা আমন মৌসুমে নানাবিধ বালাইলনাশক ক্ষেতে প্রয়োগ করে কোন প্রকার ফল পাওয়া যায়নি । সে কারণে ধানসহ নানাবিধ ফসলের ক্ষেতে পাঁচিং পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নজরদারি এবং পরামর্শ অব্যাহত রয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও সনাতন পদ্ধতি অনেকটা সহায়ক হিসেবে কাজ করছে। রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের পাশাপাশি জৈব সার ও সনাতন পদ্ধতির প্রয়োগ এখনও সমানতালে চলমান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কৃষকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে কৃষি কর্মকর্তাদের গঠনমুলক পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৫ হাজার ৭৮৮ হেক্টর জমিতে ইরিবোর চাষাবাদের লক্ষমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। দহবন্দ ইউনিয়নের কৃষক বাবু মিয়া জানান, বাপ দাদার আমল থেকে দেখে আসছি গোবর সার, বিভিন্ন ময়লা আর্বজনার পঁচা সার, জমিতে বাঁশের ঝিক, কাঁকাতুয়া ঝুলিয়ে রাখার কারণে ফসলের ক্ষেতে তেমন পোঁকা মাকড় দেখা যায়নি। বর্তমানে রাসায়নিক সার একং ঘনঘন কীর্টনাশক প্রয়োগ করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না। এখন কৃষি কর্মকর্তাগণ আবারও ধানক্ষেতে ঝিক এবং জৈব সার প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ কর্মকর্তা এ.কে.এম ফরিদুল হক জানান, পাঁচিং পদ্ধতির প্রয়োগ পূর্বের থেকে চলমান ছিল। তবে পরিমানে কমছিল। বর্তমানে কৃষকদের পাঁচিং পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়ানোর প্রতি বেশ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি মাঠ দিবসে কৃষক-কৃষাণীদেরকে ধান ক্ষেতে পাঁচিং পদ্ধতির প্রয়োগ বাড়ানোর জন্য জোর তাগাদা দেয়া হচ্ছে। ফসলের চাহিদা অনুয়াযী বালাইলনাশক প্রয়োগের পরামর্শও দেয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষেতে নানাবিধ রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।