রাজনগরে কাওয়াদিঘী হাওরের শালকাটুয়া ও মাঝেরবান বিল সিন্ডিকেট চক্র দখল করে রেখেছে। প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় প্রসাশনও তাদের উপর আইনি শক্ত কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। বছরের পর বছর বিল ইজারা বা খাস কালেকশনে তৈরী হচ্ছে জটিলতা। ওই সিন্ডিকেট চক্র লুটে করে নিচ্ছে বিলের কোটি কোটি টাকার মাছ। এদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব । উপজেলা প্রসাশন সুত্রে জানা গেছে, শালকাটুয়া ও মাঝের বান বিল নিয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা চলছে। যার কারনে জলমহাল আইনে দীর্ঘ মেয়াদী লীজ দেওয়া যাচ্ছেনা। ১৪২৬ বাংলা সনে উন্মুুক্ত ভাবে খাস কালেকশনে ৭৭ লাখ টাকা রাজস্ব ও আরো ২০ শতাংশ ভ্যাটসহ প্রায় ১লাখ টাকা সরকারের আয় হয় উক্ত দুটি বিল থেকে। মাঝের বান বিলে রয়েছে ১৭৯ একর ও শালকাটুয়া বিলে রয়েছে ১১৩ একর জমি। চলিত বছরে সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্ন ভাবে খাস কালেকশনে বাঁধা সৃষ্টি করে সরকারের বড় অংকের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লুট করে খাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মাছ ধরার জন্য বিলের পাড়ে দুটি বাসা নির্মান করে রাতের আধারে মাছ ধরে চলছে। সিন্ডিকেট চক্রের হোতা পিন্টু ও রুকন উদ্দিন শালকাটুয়া ও মাঝের বান বিলের কিছু অংশ অবৈধ ভাবে ১২ লাখ টাকা বিক্রি কবার অভিযোগও রয়েছে। এই আংশিক অংশের মাছ ধরে প্রমান না রাখার জন্য পূর্নরায় পানি প্রবেশ করে ডুবিয়ে রেখেছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে। গত ২০ ফেব্রæয়ারী সিন্ডিকেট চক্রের মাছ ধরা ও বাসা পূর্নরায় তৈরীর খবর পেয়ে সরেজমিন দেখার জন্য রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল রাজনগর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সুফিয়ান মিয়াকে পরিদর্শনে পাঠান। ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সুফিয়ান মিয়া বাসা নির্মানের সত্যতা দেখতে পেয়ে বাসা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে বলেছিলাম বাসা থাকলে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য। পুলিশ সাথে না থাকায় তিনি ভাংতে পারেননি। আমি নিজে গিয়ে অথবা এ্যাসিলেন্ড এর মাধ্যমে তাদের বাসা ভেঙ্গে দিয়ে আসবো। গত ২ মাস আগে একবার তারা বাসা বেঁধে মাছ ধরার চেষ্ট করেছিল। আমি নিজে গিয়ে মোবাইল কোর্ট করেছি ও বাসা ভেংঙ্গে দিয়ে এসেছি। খাস কালেকশন দেওয়ার বিষয় তিনি বলেন, কমিশনার অফিস থেকে নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে ডিসি অফিস। খুব কম সময়ের মধ্যে খাস কালেকশন দেওয়া হবে। এখানে একটি সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। বিলটি নিয়ে মামলা চলার কারনে ইজারা দেওয়া যায়নি। এছাড়াও যে সময় আমরা ইজারা বা খাসকালেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করলে সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্ন দপ্তর থেকে চিঠি নিয়ে আসে। এভাবে বার বার তারা বাঁধা সৃষ্টি করে। এইবার এই সিন্ডিকেট আমরা ভেঙ্গে দেবো।