সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীরগাঁও গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে প্রবাসী দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে আদালতে উভয় পক্ষে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। বিরোধের একপর্যায়ে বাড়ির পাকা বসতঘরটি একক দখলে নেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই ফজর আলী। আর বাড়ি ছাড়া হন সৌদি আরব প্রবাসী অপর ভাই আজর আলীর পরিবার।শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্ত্রী ও দুই ছোট সন্তানকে সাথে নিয়ে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন আজর আলী। কিন্ত তার বসতঘরটি অপর পক্ষ কর্তৃক তালাবদ্ধ থাকায় তিনি দেশে ফিরে ঘরে প্রবেশ করতে না পেয়ে শরণাপন্ন হন থানা পুলিশের। এরপর শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে আজর আলী তার নিজ বাড়িতে গিয়ে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করতে চাইলে এতে বাঁধা দেন তার ভাগিনারা (ফজর আলী পক্ষ)। এসময় মামা আজর আলীর সাথে তার ভাগিনা নয়াছ উদ্দিন পক্ষের মারামারি শুরু হয়। এতে আহত হন- মামা আজর আলী, ভাগিনা নয়াছ উদ্দিন, তার স্ত্রী রুজিনা বেগম ও ছোট ভাই আমিন উদ্দিন। গুরুতর আহতদের মধ্যে রুজিনা বেগমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে নয়াছ উদ্দিন (৩৫), তার ভাই নাজিম উদ্দিন (২৫) ও আমিন উদ্দিন (২০)’কে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা উপজেলার দশপাইকা গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর পুত্র। এরপর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে নিজ বসতঘরে প্রবেশ করেন আজর আলী।তিন সহোদরকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার এসআই ফজলুল হক বলেন, আজর আলী প্রবাস থেকে স্ত্রী ও ছোট সন্তানদের নিয়ে দেশে ফিরে নিজ বসতঘরে উঠতে না পেরে থানায় অভিযোগ করেন। আমরা তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে পুলিশের উপস্থিতিতেই তাদের মরধর শুরু করে নয়াছ উদ্দিন পক্ষ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩জন আটক করা হয়।উল্লেখ্য, বাড়িতে নির্মিত দালান বসতঘরের দুটি ইউনিটে দুই ভাইয়ের পরিবার এক সময় বসবাস করেন। ২০১৭ সালে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হলে সৌদি আরব প্রবাসী আজর আলীর ১ম স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাবার বাড়ি চলে গেলে তার ঘর দখলে বড় ভাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজর আলী। এরপর থেকে ওই ঘর তালাবদ্ধ করে রাখেন তিনি।