ভাঙ্গুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

 পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিএনপি’র অঙ্গ সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সোহেল রানার (৩০) বিরুদ্ধে শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাঙ্গুড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সোহেল রানা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ ভাঙ্গুড়া গ্রামের সাহাদাত মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার রাতে গ্রামে সালিশ বৈঠক ডেকেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশী ও শ্যালকের স্ত্রীকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিকবার গোপনে সালিশ বৈঠক করে সোহেল রানাকে এমন অপকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও এক সন্তানের জনক সোহেল রানা মঙ্গলবার সন্ধায় শ্যালকের বাড়িতে প্রবেশ করে একাকী পেয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ওই গৃহবধূর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সোহেল রানা পালিয়ে যায়। এরপর থেকে সোহেল রানা পলাতক রয়েছেন। এদিন রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানায়। তখন উভয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আজ বৃহস্পতিবার রাতে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে ইউপি সদস্য। তবে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ না দিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশেরআয়োজন করায় ইউপি সদস্যের প্রতি অনেকেই নাখোশ হয়েছেন। তবে কেউই মুখ খুলে কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা কেন সালিশ করে আপোষ করতে হবে। এ বিষয়ে থানার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। ইউপি সদস্য কাজটা মোটেই ঠিক করছে না।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই পরিবারের সম্মতিক্রমে সালিশের মাধ্যমে সমাধান দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অভিযুক্ত সোহেল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বলেন, সোহেল রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে রাতে শালিস ডাকা হয়েছে। সালিশে বসলে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানা যাবে। তারপরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।