রাঙামাটিতে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের দায়ে আসামী নকুল চন্দ্র শর্মার রিমান্ড মন্জুর

নির্মল বড়ুয়া মিলন, রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি :: এক নারীর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ করে নানাভাবে হয়রানী করার অপরাধে রাঙামাটি বরকল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্ত্বা আইনে মামলার প্রধান আসামী নকুল চন্দ্র শর্মার ২ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছে আদালত।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরকল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে এ রিমান্ড মন্জুর করা হয়।

আজ ৬ জানুয়ারি বুধবার দুপুর ২টায় রাঙামাটি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেলাল হোসেন ভার্চুয়াল আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিমান্ড আবেদন শুনানীর মাধ্যমে প্রধান অভিযুক্ত আসামী নকুল চন্দ্র শর্মাকে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার আলামত উদ্ধারের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদন শুনানীর সময় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেলাল হোসেন এর ভার্চুয়াল আদালতে রাঙামাটি জেলা কারাগার থেকে আসমীসহ যুক্ত ছিলেন জেলার বাহারুল ইসলাম।

এছাড়া রিমান্ড আবেদন শুনানীর সময় জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বেলাল হোসেন এর ভার্চুয়াল আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট জুয়েল দেওয়ান, রাষ্ট্র ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরকল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেনের পক্ষে বরকল থানার অফিসার ইনচার্জ-তদন্ত (ওসি-তদন্ত) মন্জুনুল আফসার এবং রাষ্ট্র পক্ষের জিআরও সাব ইন্সপেক্টর নয়ন কান্তি দাশ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার ২৭ ডিসেম্বর-২০২০ বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানার মজ্জারটেক এলাকার সনজিত সেলুন থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন(পিবিআই) এর সদস্যারা নকুল চন্দ্র শর্মা (৩১ কে আটক করে চট্টগ্রামের দক্ষিণ কুলশী পিবিআই কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পিবিআই চট্টগ্রাম মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরকল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেনের কাছে আসামী নকুল চন্দ্র শর্মাকে হস্তান্তর করেন।

গত সোমবার ২৮ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটায় রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় এনে মামলার নথি প্রস্তুত করে রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আসাদ উদ্দীন আসিফ এর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।

আটককৃত আসামী নকুল চন্দ্র শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরকল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের জিআরও সাব ইন্সপেক্টর নয়ন কান্তি দাশ।

এদিকে মামলার বাদীর অভিযোগ অপর চার আসামী পুলিশের নাগের ডগায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও অজ্ঞাত কারণে আটক করছেনা বরকল থানা পুলিশ।
এই মামলার অপর আসামীরা হচ্ছে – ২। মো. সোহেল ৩। মো. সুমন পারভেজ উভয়ের পিতা- আব্দুল মালেক, গ্রাম- হরিণা বাজার এলাকা (আমতলা), ৪। মো. ইউছুফ রানা, পিতা-মৃত আলি আহম্মদ, গ্রাম- হরিণা বাজার এলাকা (আমতলা), থানা- বরকল, উপজেলা- বরকল ও ৫। অমর শান্তি চাকমা, পিতা- চিরনজীব চাকমা, মাতা- ইন্দ্রদেবী চাকমা, গ্রাম-কুসুমছড়ি, সুভলং, বর্তমান ঠিকানা- গ্রাম-ধনুবাগ-মাষ্টার পাড়া (সূর্যের হাসি ক্লিনিক ছ্টো হরিণা শাখা), থানা- বরকল, উপজেলা- বরকল, জেলা-রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরকল থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেন জানান, এ মামলার অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।