বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া শহরের চেলোপাড়া বেলতলা মহাশ্মশান কালীমন্দির কমিটির উদ্যোগে ২৩তম অধিবেশনে রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া বাৎসরিক কালীপূজা মন্ডপ ও মহাশ্মশানে আয়োজিত সার্বিক আয়োজন পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের পৌর কমিটির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজের নেতৃত্বে করোনাকালীন এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত এই বাৎসরিক পূজামন্ডপের সার্বিক আয়োজন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি অতুল কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক ডেন্টিস্ট সুজিত কুমার তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকর্মী সঞ্জু রায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক চন্দন কুমার রায়, সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে শ্যামল দাস এবং চন্দন কুমার কানু। পরিদর্শনকালে মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি রবিন কুমার সাহা, সহ-সভাপতি বাবলু চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার সিংহ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন রায়, সদস্য ডাবলু চৌহান প্রমুখ। পরিদর্শন পরবর্তী সংগঠনের পক্ষ থেকে মন্দিরে পূজার প্রসাদের জন্যে ৫০ কেজি চাল প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, অত্র শহরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই শ্মশানে প্রতিবছর অত্যন্ত জাঁকযমকভাবে কালীমাতার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে এই বছর স্বল্প-পরিসরে দেবী বরণ মাতৃভক্তবৃন্দের সাথে গীতাপাঠ, চন্ডীপাঠ ও কোভিড-১৯ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বিশেষ প্রার্থনাসহ রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ধর্মীয় কীর্ত্তণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাথে সাথেই ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণও করা হয়েছে শেষ অবধি। উল্লেখ্য, অত্র এলাকার এই মহাশ্মশান দীর্ঘদিন ধরেই অযতœ ও অবহেলায় শুধু প্রয়োজনেই ব্যবহার হয়ে আসছিল কিন্তু বর্তমান মন্দির পরিচালনা কমিটির বিভিন্ন উদ্যোগে এবং বগুড়ার বিভিন্ন মহলের সহযোগিতায় ধীরে ধীরে নানা উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে তারপরেও অত্র এলাকার হাজারো সনাতন ধর্মালম্বীদের শেষ গন্তব্য এই স্থানে রয়েছে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা যা সমাধানে প্রশাসন ও ধর্ণাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ।