শফিক আল কামাল ॥ পাবনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৪টি ঘর-বাড়ি, আসবাবপত্র ভাংচুর, স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও গরু বাছুর লুট এবং ৪জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর-বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামে বুধবার থেকে শুরু হয়ে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে শুক্রবার পর্যন্ত। এ সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই এলাকায় দূর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকার মো. দুলাল মন্ডলের ছেলে তন্ময় মন্ডল বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম নজু মেম্বর কে প্রধান আসামী উল্লেখ করে ১৬জন নামীয়সহ ৫/৭জন অজ্ঞাত কে আসামী করে পাবনা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৬৫, তারিখ-২০/১১/২০২০)। মামলায় উল্লেখ করা হয়, নজরুল ইসলাম নজু মেম্বর তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে ও কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা ৪টি বাড়ি ভাংচুর করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার, ১লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার গরু-ছাগল এবং নগদ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় দূর্বৃত্তদের দ্বারা নারী লাঞ্চিতের ঘটনাও ঘটে। সংঘষের্র ঘটনায় আহত জহুরুল ইসলাম, বারিক হোসেন, মহসিন, ও তন্ময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজশাহী এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিকে বাদী পরিাবর ও স্বজনরা আহত হলে ঘর-বাড়ি পুরুষশুন্য হওয়ায় নারী সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বাদী পরিবার ও স্বজনেরা।
হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন মালিথা বলেন, আমি গুলির শব্দ শুনেছি, গুরু ছাগল সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের অবশ্যই উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যত্যা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পেয়েছি, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।