খুব কম ভোজন রসিক বাঙালিই আছেন যে বিরিয়ানি পছন্দ করেন না। শহরে বা গ্রামে সবাই বিরিয়ানি খেতে ভালবাসেন। তবে কাশ্মীরি বিরিয়ানি খেয়েছেন কি?
মজাদার স্বাদের এই বিরিয়ানি রেস্টুরেন্টগুলোতে অনায়াসেই পেয়ে যাবেন। তবে ঘরে কখনো কাশ্মীরি বিরিয়ানি তৈরি করেছেন কি? না করে থাকলে আজই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু কাশ্মীরি বিরিয়ানি।
তাছাড়া যেকোনো সময় প্রিয়জনদের সামনে হাজির করতে পারেন নিজ হাতে তৈরি করা এই বিরিয়ানি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কাশ্মীরি বিরিয়ানি তৈরির রেসিপিটি-
উপকরণ: হাড় ছাড়া মাংসের টুকরা করা ৩০০ গ্রাম, চাল পাঁচ কাপ, মাঝারি সাইজের চিংড়ি মাছ ১০০ গ্রাম, গাজর টুকরা এক কাপ, লবঙ্গ চারটি, তেজপাতা দুইটি, কেওড়ার জল দুই টেবিল চামচ, গোলাপ জল দুই টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ আট থেকে দশটি, গরম পানি আট কাপ, কাজুবাদাম আধা কাপ, গুঁড়া দুধ আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি এক কাপ, পেস্তাবাদাম আধা কাপ, তেল বা বাটার অয়েল দেড় কাপ, আদা বাটা এক টেবিল চামচ, রসুন বাটা এক চা চামচ, জিরা বাটা এক চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা এক টেবিল চামচ, টক দই এক কাপ।
প্রণালী: প্রথমে একটি প্যানে মাংসের টুকরা, এক চা চামচ আদা বাটা, আধা চা চামচ রসুন বাটা, সিকি কাপ টক দই ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে সিদ্ধ করুন। এবার চিংড়ির লেজ রেখে মাথা ও খোসা বাদ দিয়ে দুই টেবিল চামচ টমেটোর সসসহ অল্প পানিতে সিদ্ধ করে পানি শুকিয়ে নিন। সব সবজি লবণ দিয়ে আধা সিদ্ধ করে নিন। চাল ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
এবার একটি প্যানে চার টেবিল চামচ বাটার অয়েল গরম করে কিসমিস ও কাজুবাদাম ভেজে তুলে রাখুন। এবার ওই প্যানে আলু ভেজে নিন। বাকি বাটার অয়েল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে কিছুটা উঠিয়ে রাখুন। এবার একে একে সব বাটা মশলা দিয়ে কষিয়ে মাংস দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ কষানোর পর চাল দিয়ে দিন। এসময় গরম মশলা ও তেজপাতা দিন। দুধ দিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট ভেজে পানি দিয়ে দিন।
এরপর লবণ ও আলু দিয়ে দিন। পানি কমে এলে দই, চিনি, স্বাদ মতো লবণ দিয়ে মটরশুঁটি ও বাকি উপকরণ দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট দমে রাখুন। এবার সার্ভিং ডিশে ঢেলে পেঁয়াজ, কিসমিস, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার কাশ্মীরি বিরিয়ানি।