ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের অপসারন দাবির প্রসংগে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটি ষড়যন্ত্রকারী চক্র বেশ কয়েকটি পত্রিকায় ‘‘বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের লম্পট প্রধান শিকের অপসারন দাবি’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সেখানে আমার বিরুদ্ধে বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি বরাবর অপসারণ চেয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে আইনসিদ্ধভাবে আমার দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে সামাজিক চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি বলে প্রকাশিত অভিযোগটি মিথ্যা বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক। মহল বিশেষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংবাদ প্রচারের ঘটনার আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আাইনগত ও ধর্মমতে পারিবারিক ভাবে প্রস্তাবনার মাধ্যমে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। একটি চক্র হীন উদ্দেশ্যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করেছে। এই মিথ্যা অভিযোগের কোনই প্রমাণ নেই। মিথ্যা অভিযোগ যাচাই বাছাই না করে পত্রিকায় প্রকাশের কারণে আমার ব্যক্তিগত সম্মানহানি ও বিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। পারিবারিকভাবে আমার দ্বিতীয় বিয়েটির সাথে বিদ্যালয়ের কোন সম্পর্ক নেই। তাছাড়া বিদ্যালয়ের কোন ছাত্রী, শিকিা বা অভিভাবককে আমি বিয়ে করিনি। কুচক্রি মহল পূর্ব শত্রæতার জের ধরে ষড়যন্ত্র করে আমাকে বিদ্যালয়ের সাথে জড়িয়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়াও অনৈতিকভাবে দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। হুমকি-ধামকি সহ চাকুরীচ্যুতির ভয় দেখানো হচ্ছে। অনৈতিক সম্পর্কের কারণে ও সামাজিক চাপে যদি আমার দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা ঘটতো তাহলে সামাজিকভাবে শালিস-দরবার বসতো। অথচ এধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। চক্রটি মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে সমাজের কাছে আমার চরিত্রে কালিমা লেপন করেই ান্ত হয়নি, প্রতিষ্ঠানেরও সুনামও ুন্ন করেছে। শিক্ষক সিরাজ আরো বলেন, আমার দীর্ঘ ১৮ বছর শিক্ষকতা জীবনে চরিত্রহীনতার কোন প্রমাণ নেই। বৈধভাবে দ্বিতীয় বিয়ে করার পরও চরিত্রহীন ও লম্পট আখ্যায়িত করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি।
বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে স্বার্থনেসী মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অন্য কোন উপায়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় বিফল হলে বৈধভাবে দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা নিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রায় দুই মাস আগের বিয়ের ঘটনাকে এখন কেন অনৈতিক বলে অভিযোগ করা হচ্ছে ? আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ, ঘৃণা ও নিন্দা জানাচ্ছি। ব্যক্তিগত বিষয়কে যারা প্র্রতিষ্ঠানের সাথে জড়ানোর অপচেষ্টা করেন,পারে তারা কখনোই সমাজের বা প্রতিষ্ঠানের ভাল চায় না। সুশিল সমাজের কাছে আমার প্রশ্ন বৈধ বিয়ে যদি অনৈতিক হয়, তাহলে নৈতিক বিয়ে কোনটি ? ##