নির্মলেন্দু সরকার বাবুল
সরকারী ২৬ দফা নির্দেশনা মেনে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মন্ডপে মন্ডপে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে। মন্ডপগুলোকে নতুনত্ব সংযোজন করে ভক্তদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যস্ততার সীমা থাকতো না কারোই।
কিন্তু এবার চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সবকিছুই মলিন করে দিয়েছে। ধর্মীয় এ উৎসবটির সব কিছুতেই কাঁটছাট করা হয়েছে। নেই তেমন কোনো ব্যস্ততা। নেই সাজ সজ্জার-ধামাকাযজ্ঞ। প্রতিবারের মতো মন্ডপ সম্মুখে দৃষ্টি নন্দন গেইট নির্মাণের দৃশ্যও চোখে পড়ছে না এবার।
দুর্গাপুর উপজেলায় মোট ৫৬ মন্ডপে দূর্গাপুজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন করার জন্য দিনরাজ কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। কিছু দিনের মধ্যেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করে রংতুলির আঁচড়ে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শেষ করবেন বলে জানান প্রতিমা কারিগর গন।
যে কারণে কারিগররা ব্যস্তসময় পার করছেন। যদিও এ বছর প্রতিমা তৈরির মজুরি বিগত বছরের তুলনায় কম পাচ্ছে বলে জানান কারিগররা। তারা বলছে, করোনায় প্রতিমা তৈরির মজুরি কম নিতে হচ্ছে।
এবার দেবী দূর্গা আসবেন দোলায় আর যাবেন গজে। সরকারি নির্দেশনা মেনে পূজার আয়োজন ছোট পরিসরে করা হবে বলে জানান দুর্গাপুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মানেশ চন্দ্র সাহা ।
২১ অক্টোবর দেবী দূর্গার বোধনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে শুরু হবে মহাসপ্তমী পূজা। এরপর মহাঅস্টমী, কুমারী পূজা, মহানবমী ও দশমী পূজা শেষে ২৭ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও দূর্গাপুর থানা পুলিশ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মন বিনিময় সভা করেছে। সব গুলো মন্দিরেই সুষ্ঠু,শান্তিপূর্ন ও ধর্মীয়ভাবে পূজাগুলো যাতে অনুষ্ঠিত ও সম্পন্ন করা যায় সে ব্যাপারে মন্দির কমিটিগুলোকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে । প্রত্যেকটি মন্দিরে পুলিশ এবং পুরুষ ও মহিলা আনসার সদস্য পূজা চলাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।