সূর্য ওঠার আগইে গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে মাটির চুলায় জ্বাল দিচ্ছিলেন গাছিরা। ধীরে ধীরে সেই কাঁচা রস ঘন হয়ে পরিণত হচ্ছে গুঁড়ে।
গাছিরা জানান, আমরা সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খেজুরের গুঁড় বানায়। কেউ কেউ মনে করে কেমিকেল, চিনি ছাড়া খেজুর গুড় হয় না। আসলে এটা ভুল ধারণা।
সেরাজপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গাছ থেকে প্রায় ৮ মণ রস সংগ্রহ করে মাটির চুলায় জ্বাল দিচ্ছেন গাছি জামরুল, নজরুল ও মকবুল হোসেন। জ্বাল দিতে দিতে তারা বলেন, প্রায় ৪ ঘণ্টা এভাবে জ্বাল দিতে হবে। রস লালচে হয়ে ঘন হলে একটু ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। তারপর বাটিতে ঢেলে নিলে হয়ে যাবে গুঁড়।
তারা আরও বলেন, কার্তিক মাসের শুরু থেকেই ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিন সব গুড় বিক্রি হয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তাড়াশের প্রায় পাঁচ হাজার আটশ খেজুর গাছ আছে। এ বছর আমাদের গুঁড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আশি মেট্রিক টন।