বিশ্বনাথে ‘গ্রাম আদালতের এজলাস’-এ আ.লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী সভা!


বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: নির্বাচনী আচরণবিধি ও গ্রাম আদালতের আইন উপেক্ষা করে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের এজলাসে ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থীর নির্বাচনী সভা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।জানা গেছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৯ অক্টোবর দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জবেদুর রহমান। তার নির্বাচনের ওয়ার্ড পরিচালনা কমিটি গঠনের অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার বিকেলে দশঘর ইউনিয়ন আ.লীগের ২নং ওয়ার্ড শাখার উদ্যোগে খোদ ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতের এজলাসে মতবিনিময় সভা অনুুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যার পর থেকে সভার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। ছবিতে দেখা যায়, পুরো এজলাসজুড়ে সভার অতিথি ও উপস্থিত নেতাকর্মীরা বসে আছেন। শুধু তাই নয়, বিচারকের চেয়ারে বসে আছেন মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ও দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনিত প্রার্থী জবেদুর রহমান।গ্রাম আদালতের এজলাসে সভা করার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জবেদুর রহমান বলেন, ‘সভার আয়োজক আমি নই। আয়োজন করেছে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ড আ.লীগ। আর গ্রাম আদালতের এজলাসে সভা করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়-এটা আমার জানা ছিল না।’গ্রাম আদালতের বিশ্বনাথ উপজেলা কো-অর্ডিনেটর গীতা রানী মোদক বলেন, ‘বিচারকার্য ছাড়া অন্য কোনো কাজে গ্রাম আদালতের এজলাস ব্যবহার আইনসম্মত নয়। ওই আদালতের সহকারী জানিয়েছেন, তিনি (দশঘর ইউপি গ্রাম আদালতের সহকারী) কাজ শেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলে যাবার পর আ.লীগ প্রার্থীর সভাটি করা হয়েছে।’উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্ণিং কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘গ্রাম আদালতের এজলাসে সভা করা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বর্ণালী পাল বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’