ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
সহিংসতায় ছেলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালের বিছানায়, আর বাবা নৌকার বিজয় অর্জনের জন্য নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠ চষে বেরাচ্ছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খানের ছেলে রনি খান ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পরও তিনি ধারাবাহিকভাবে নৌকার জন্য গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সালাম খানের এই ভূমিকায় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ ঈশ্বরদীর সাধারণ মানুষ দলের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন উপলে আয়োজিত ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং দলীয় কার্যালয়ের মধ্যেই একাধিক নেতা-কর্মীদের ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের মধ্যেই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয় সালাম খানের ছেলে রনি খান। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে পাবনা ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, ছেলে রনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও বাবা সালাম খান ঈশ্বরদীতে অবস্থান করে সকাল হতে গভীর রাত অবধি নৌকার জন্য বাড়ি বাড়ি গণসংযোগ ও একাধিক উঠোন বৈঠক করছেন। গত বুধবার সে একবার ছেলেকে দেখতে গিয়েছিলেন।
সালাম খান বলেন, ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়ো’ এটা আমি অন্তরে ধারণ করি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাসকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। বিগত সময়ে পর পর পাঁচবার এই আসনে নৌকা বিজয়ী হয়েছে। গত ১৪ তারিখের ঘটনা নৌকার বিজয় নস্যাতের একটি নীল নকশা ছিলো। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করা একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ মনে করে পরিবার-পরিজনের কথা ভুলে নির্বাচনের মাঠে কাজ করছি।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, দলের প্রতি আনুগত্য ও ভালোবাসার বহিঃপ্রাকাশ ঘটিয়েছেন সালাম খান। সে একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা। সেদিন দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতের দোসররা রনিসহ আরো অনেকের উপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে মিন্টু আরো বলেন, ওদের উদ্দেশ্য ছিলো একটি বড় গোলযোগ সৃষ্টি করে নৌকার বিজয় নস্যাত করা।