চাটমোহরে রেল সচিবের মতবিনিময় সভা

চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, বন্যা, চলমান ত্রাণ কার্যক্রম, আইন শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় অনূষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রেল সচিব মো. সেলিম রেজা।

পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, পাবনার সিভিল সার্জন ডাক্তার মেহেদী ইকবাল, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাখো, পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল, চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক বুলবুল, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক চলনবিল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রকিবুর রহমান টুকুন, চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বেলাল হোসেন স্বপন। স্বাগত বক্তব্য দেন, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোহাম্মদ রায়হান।

সভায় বক্তারা চাটমোহর রেলস্টেশনের আধুনিকায়ন, ট্রেন ও আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানান। সেইসাথে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার সংকট, করোনার ত্রাণ বিতরনে সমন্বয়হীনতার অভাবসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। সভা শেষে উপজেলা চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন রেল সচিব।

রেল সচিব মো. সেলিম রেজা বলেছেন, আমরা বীরের জাতি। সারাবিশ্বে করোনা মহামারীর মাঝে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটা ভাল অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ত্রাণ নিয়ে কোনো ধরনের দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না। কোথাও কোনো অন্যায় প্রশয় দেয়া হবে না। আমরাও সে লক্ষে কাজ করছি। মহামারীর মাঝে ডাক্তার, পুলিশসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা জীবন বাজি রেখে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ গঠনে কাজ করছি।

চাটমোহরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে রেল সচিব জানান, চাটমোহর স্টেশনে ট্রেনের টিকেট সংখ্যা বাড়ানো হবে। ট্রেন থামার সময় এক মিনিট বাড়িয়ে তিন মিনিট করা হবে। চাটমোহর স্টেশনের সংস্কার করা হবে। পাবনার উন্নয়নে চেষ্টা থাকবে সবসময়।

সভায় সিভিল সার্জন জানান, পাবনায় করোনা আক্রান্তের হার ১০.৩৭। এখন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ ৯৬১৩ জনের, রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৯০৭২ জনের। মোট করোনা পজিটিভ ৯৪১ জন। সুস্থ্য ৮২২ জন। ৯ জন মারা গেছে। বর্তমানে জেলায় ১১০ জন আক্রান্ত রয়েছে।
এর আগে রেল সচিব চাটমোহর রেলস্টেশন পরিদর্শণ করেন এবং স্টেশন চত্বরে বৃক্ষরোপণ করেন।