প্লাজমা দান করতে ঢাকার পথে বগুড়া জেলা পুলিশের ৫৯ সদস্য

করোনায় আক্রান্ত মুমুর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য বগুড়া জেলা পুলিশের ৫৯ জন করোনাজয়ী সদস্য প্লাজমা দানের জন্যে যাচ্ছেন ঢাকায় যার ১ম ধাপে রবিবার সকাল ১১ টায় বগুড়া পুলিশ লাইন্স থেকে রওনা দেন ৪০ জন পুলিশ সদস্য আর বাকি ১৯ জন যাবেন সোমবার।
বগুড়া জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী এবং জেলা পুলিশের করোনা ফোকাল পয়েন্ট তাপস কুমার পাল এর দেয়া তথ্যমতে, করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে কাজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত বগুড়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৪৯ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৪২ জন সুস্থ হয়েছেন। সম্প্রতি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল থেকে বগুড়ায় আসা একটি মেডিকেল টীম করোনা জয়ী ১৪২ জন পুলিশ সদস্যদের মাঝে ১১৭ জনের এন্টিবডি পরিক্ষায় ৫৯ জন উত্তীর্ণ হন প্লাজমা দানের যোগ্য হিসেবে। যার পরিপ্রেক্ষিতেই জেলা পুলিশের কর্ণধার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এর উদ্যোগে এখন অন্যান্য রোগীদের সহায়তার লক্ষ্যে তাদেরকে প্লাজমা দানের জন্য রবিবার ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ উপলক্ষে বগুড়া পুলিশ লাইন্স প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বলেন করোনা ভাইরাস সংক্রমনের শুরু থেকেই সারাদেশের মত বগুড়ায় পুলিশ সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠ পর্যায়ে থেকে এসব কাজ করতে গিয়ে প্রায় দেড়শ’ পুলিশ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু তাই নয় একজন পুলিশ সদস্য প্রানও দিয়েছেন করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে। তিনি বলেন করোনা জয় করেও পুলিশের দায়িত্ব শেষ হয়নি। যাদের এন্টিবডি তৈরী হয়েছে তারা এখন প্লাজমা দান করবেন। পুলিশের দান করা এই প্লাজমা করোনায় আক্রান্ত একজন মুমুর্ষ রোগীর প্রান বাঁচাতে সহায়ক হবে যা বিশাল এক আত্মতৃপ্তি ও প্রশান্তি লাভের কারণ হবে। অনুষ্ঠানে এসময় জেলা পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যথাক্রমে আলী হায়দার চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, সদর সার্কেলের সনাতন চক্রবর্তী, শেরপুর সার্কেলের গাজিউর রহমান, সদরের তাপস কুমার পাল, রফিকুল আলম প্রমুখ।