বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. এছরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন নির্মান ও সংস্কার কাজ দেখিয়ে ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ“র বিরুদ্ধে কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে অভিযোগ।
স্থানীয় কৃষক মো: রাজেদুর রহমান রাজু এবং নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,দিনাজপুর জেলা সদরের নশিপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. এছরাইল হোসেন ইনস্টিটিউটের ষ্টাফদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষার জন্যে প্রতিষ্ঠিত প্রতিভা কিন্ডার গার্টেন স্কুলটিতে নিজের আত্বীয়কে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে আত্বীয়করণের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্বসাত করেছেন।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের অভ্যন্তরে শহীদ মিনার, ফ্লাগ ষ্ট্যাান্ড, ড্রেন নির্মান,কেমিক্যাল ক্রয়,টিএলসি গম ক্রয়,কর্মকর্তা কর্মচারীদের ষ্টাফ কোয়াটার এবং আনসার ক্যাম্প সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকা আত্বসাত করেছেন বলে অভিযোগ বলা হয়েছে। মহাপরিচালক (চ:দা:) ড. মো. এছরাইল হোসেনের এর বিরুদ্ধে বিদেশী বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কয়েকটি কোটি টাকা আত্মসাৎ । তারা অভিযোগে উল্লেখ করেন, এসমস্ত অনিয়ম দূর্নীতি এবং লুটপাটের সাথে জড়িত থেকে ভুমিকা রেখেছেন উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাা ড. আব্দুল হাকিম,হিসাব রক্ষক মো: সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য আরো কয়েকজন যা তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে।
অভিযোগে বলা হয়েছে এছাড়াও আঞ্চলিক গম গবেষণা কেন্দ্র শ্যামপুর, রাজশাহী, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইলিয়াছ কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ১১/১২/২০১৮ সালে ড. মো. এছরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে আর এফ কিউ এর মাধ্যমে মাটি ভরাটের কাজ, মাটি ক্রয়, রিপিয়ারিং, গবেষণা কর্মসূচী সহ বেশ কটি প্রকল্পে প্রতারণা আশ্রয় নিয়ে জালিয়াতি করে প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর বিরুদ্ধে তদন্ত করেন।
এব্যাপারে জানতে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. এছরাইল হোসেনের সাথে তার দফতরে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি অফিসে থেকেও কথা বলতে এবং সাক্ষাত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন,পরবর্তীতে তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।