পাবনার সাঁথিয়ায় আ’লীগ ও যুবলীগের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংর্ঘষের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ। নন্দনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করে উভয় পক্ষের পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের। ৭ জন আটক। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানাযায়, রবিবার উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের পিয়াদহ গ্রামে ইউনিয়ন আ’লীগ ও যুবলীগের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লার ভাই জহুরুল ইসলাম কল্লোলকে বিদেশী পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ ও নন্দনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হেলাল এর পক্ষের আশিককে ককটেলসহ আটক করে। জহুরুল ইসলাম কল্লোলের বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।
রাতেই এস আই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামী করা হয়। রবিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানের পক্ষে আলতাব হোসেন বাদী হয়ে ৪৮ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ ও যুবলীগ সভাপতি হেলালের পক্ষে আ: কাদের বাদী হয়ে নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লাকে প্রধান আসামী করে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে পিয়াদহ গ্রাম পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে যুবলীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, আগামীতে নন্দনপুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষনা করায় চেয়ারম্যান লিটন মোল্লা আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
নন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম লিটন মোল্লা জানান, আগামী ইউপি নির্বাচনে হেলাল চেয়ারম্যান প্রার্থী হবে। সে আমার পরিবার ও আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠছে।
সাঁথিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আটককৃতদেরকে পাবনা আদালতে প্রেরণ করা হবে। এলাকার আইন শৃংখলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।