সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার মেছরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।
জানা যায় , ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সরকার ঘোষিত ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় উল্লেখিত ইউনিয়নে ২৪২জন উপকার ভোগী দুঃস্থ ও বিধবা মহিলা নির্বাচন করা হয়। এদের মাঝে কেউ কেউ কার্ডধারী চাল পাইনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সকল মালামাল স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। চাল না পাওয়া ব্যক্তিদের নামে ভিজিডি কার্ড ইস্যু থাকলেও তারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এরা অধিকাংশই চরাঞ্চলের ভাঙ্গনকৃত এলাকার নিরক্ষর ও দরিদ্র মানুষ। ইতিমধ্যেই সুবিধা বঞ্চিত জেলা প্রশাসক, জেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটি সিরাজগঞ্জ, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু এতে এখন পর্যন্ত কোন প্রতিকার পাইনি বলেন জানা যায়।
এ ব্যাপারে কার্ডে নাম থাকা মর্জিনা খাতুন ও সুলতানা মুঠো ফোনে বলেন, ‘মেলা দিন অইলো আমাগোরে নামে কার্ড অইলেও আজও আমরা কোন মাল পাই নাই। আমরা গরীব মানুষ এলাকার ১০ জনকে জানান ছাড়া আমাগো আর কি করার আছে। চেয়ারম্যানের কাছে গেলে মেম্বারের কতা কয় আর মেম্বারের কাছে গেলে চেয়ারম্যানের কতা কয়। তাই দৌড়পাড়া বাদ দিয়া মাতায় আত দিয়া বইসা অইছি। এ্যা নিয়া বেক নেহা নেহি করছে তাও চাইল পাই নাই।’
মেছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মাস্টারের সাথে মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। যে মুহুর্তে ভয়াবহ করোনা দূরীকরণ, বন্যা প্লাবিত এলাকায় বিপুল পরিমান ত্রাণ বিতরণ, মুজিব বর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এমনি বলিষ্ঠ ঘোষণা ও বাস্তবায়নরে মধ্যে দিয়ে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক সেই মুহুর্তে হতদরিদ্র মানুষের ক্ষুধা নিবারণের ভিজিডির চাউল আত্মসাৎ এর অভিযোগ এলাকা তথা সচেতন মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।