রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় মুদ্রা কয়েন ও খুরচা টাকা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। ফলে ১, ২ টাকার কয়েনের স্তুপ পড়েছে একাধিক ব্যবসায়ীর কাছে। এছাড়া ৫ টাকা মূল্যমানের কাগজী নোট নিয়েও তাদের দূর্ভোগের শেষ নেই। বাজারে মুদ্রা কয়েন না চলার কারণে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীর মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষও এসব কাগজী নোট জমা নিতে আগ্রহী নয়। সরকারি ভাবে কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও অজ্ঞাত কারণেই কেউ এসব কয়েন নিতে চান না। ফলে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নানান শ্রেণি পেশার মানুষ এগুলো নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। ভবানীগঞ্জ বাজারের বেকারি ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন জানান,বেকারি পন্য বিভিন্ন দোকানে দিলে যে বিল হয় তার তিন ভাগের দুই ভাগেই এই কয়েনে বিল নিতে হয়। এগুলো না নিলে পন্য নেওয়া বন্ধ নতুবা টাকা বকেয়া রাখতে বাধ্য করেন। ডিমের আড়ৎদার হানিফ মিয়া বলেন, ডিম খামারি পলিথিনের ব্যাগ ভরে ভরে এই কয়েন দিয়ে থাকেন। বাধ্য হয়েই তা নিতে হয়। নতুবা বকেয়ার পাহাড় জমে যায়। ভবানীগঞ্জ হাটের কয়েকজন মিষ্টির দোকানী জানান, যখন মুদ্রার স্বাভাবিক প্রচলন ছিল তখন আপত্তি ছিল না। তাদের মতে এখন কয়েন শুধু ফকিরকে ভিক্ষে দেওয়ার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। তাও অনেক ফকির (ভিক্ষুক) ১, ২ টাকার কয়েন নিতে বিরক্ত প্রকাশ করে। সাধারণ যাত্রীরা বলেন সিএনজি ও আটোরিকশায় চড়লে এই কয়েনে ভাড়া দিতে গেলেই বিপত্তি শুরু হয়। চালকরা কোন ক্রমেই কয়েনের মাধ্যমে ভাড়া নিতে চান না।জানা গেছে, কয়েন বিপত্তির এই সুযোগে কয়েকটি আসাধু কয়েন ব্যবসায়ী চক্র মাঠে নেমেছে খুরচা ব্যবসায়ের কাজে। তারা কমিশন ভিত্তিতে মাঠ থেকে কয়েন উঠিয়ে নিচ্ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, তারা এক হাজার টাকার কয়েন দিলে ওই চক্র তাদে ৫শ’ থেকে সাড়ে ১৫শ’ টাকা ক্যাশ (কাগজী মুদ্রা) প্রদান করে থাকে। তবে এই কয়েন তারা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে এ ব্যাপরে ব্যবসায়ীরা কিছু জানেন না বলে জানান।