গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল চুরির ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে শাস্তি ভোগ করার প্রতিশোধ নিতে নাঈম ইসলাম (৭) নামের এক শিশুকে নিমর্মভাবে হত্যা করেছে এক কিশোর। শুক্রবার বিকালে উপজেলার ছাপড়হাটী ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপড়হাটী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নাঈম ইসলাম ওই গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ওই গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে কিশোর বাপরাজকে (১৪) ঘটনার রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ৭ মাস আগে মিলন মিয়ার বাড়ির একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় কিশোর বাপরাজকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রাম্য শালিসির মাধ্যমে সাজা শাস্তি দেয় এলাকাবাসি। মোবাইল চুরি না করেও তাকে শালিসি বৈঠকে মারধর করায় ওই পরিবারের প্রতি ক্ষোভ জন্মে বাপরাজের। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকালে নাঈমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নির্জন একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় বাপরাজ। সেখানে শিশুটির উপর নির্যাতন চালালে গুরুতর আহত হয় এবং পরে পাশে থাকা পুকুরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। শিশুটি সাতার না জানায় পানিতে দম বন্ধ হয়ে মারা যায়। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে মাইকিং করে পরিবারটি। মাইকিং শুনে বাপ্পারাজ স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে নাঈমকে মেরে ফেলার গল্প করছিল। পরে স্থানীয়রা বাপারাজকে আটক করে তার দেয়া তথ্য মোতাবেক ওই পুকুর থেকে নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে এবং বাপ্পারাজকে আটক করে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ওই রাতেই মন্ডলের হাট থেকে বাপরাজকে গ্রেফতার করে। থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, এ ঘটনায় আজ শনিবার নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। বাপরাজ নামে এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।