পাবনা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য শামসুন্নাহার মুক্তা জেলা পরিষদ হতে ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়ে নতুন রিক্সা-ভ্যান ও সেলাই মেশিনের পরিবর্তে পুরাতন কয়েকটি রিক্সা-ভ্যান ও সেলাই মেশিন বিতরণ করে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,পাবনা জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য ও বেসরকারি এনজিও সংস্থা “দিগন্ত সমাজ কল্যাণ সংস্থার” নির্বাহী পরিচালক শামসুন্নাহার মুক্তা জেলা পরিষদ হতে ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৮ মে এলাকার হতদরিদ্রদের আত্মকর্মস্থানের জন্য রিক্সা-ভ্যান ও সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতাউর রহমান, সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এস,এম জামাল আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন ও সেলিমা সুলতানা শিলা প্রমুখ। অতিথিবৃন্দ ৫টি নতুন ভ্যান ও ৫টি নতুন সেলাই মেশিন বিতরণ করে চলে গেলে শামসুন্নাহার মুক্তা অপর ১৫টি নতুন ভ্যানের পরিবর্তে ৯টি পুরাতন মরিচা পরা ভাঙ্গা, রিপিয়ারিং রং করা রিক্সা ও ২৮টি নতুন সেলাই মেশিনের পরিবর্তে পুরাতন ১১টি সেলাই মেশিন বিতরণ করেন। অথচ নতুন ২০টি রিক্সা-ভ্যান ও ৩৩টি নতুন সেলাই মেশিন বিতরণের কথা ছিল।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, শামসুন্নাহার মুক্তা ৯ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়ে ২০টি নতুন রিক্সা-ভ্যান যার প্রতিটি মূল্য ৩০ হাজার টাকা এবং ৩৩টি সেলাই মেশিন যার মূল্য ৯ হাজার ৯০ টাকা বিল ভাউচার অফিসে জমা দিয়েছেন। তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায় নতুন ভ্যানের দাম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার এবং পুরাতন রিক্সার দাম ৪ হাজার টাকা এছাড়া নতুন সেলাই মেশিনের দাম ৭ হাজার টাকা এবং পুরাতন সেলাই মেশিনের দাম ২ হাজার টাকার বেশি না। এ সময় নতুন ভ্যান ও সেলাই মেশিনের পরির্বতে কেন পুরাতন জিনিস দিচ্ছেন উপকারভোগীরা প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, পারলে লও না পারলে চলে যাও। পুরাতন ও মরিচাপড়া রিক্সাগুলো বিভিন্ন স্থান হতে কিনে এনে নম্বর প্লেট সহ রং তুলে ফেলে রিপিয়ারিং করে নতুন রং দিয়ে বিতরণ করা হয়। রিক্সাগুলো যে পুরতান তা দেখলেই বুঝা যায়। এছাড়া পুরাতন সেলাই মেশিন কিনে এনে রং করে নতুন কভার দিয়ে বিতরণ করেন।এতে করে এ প্রকল্পে সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে অবশিষ্ট ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
পাবনা জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য শামসুন্নাহার মুক্তা এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে কয়েকবারই ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথে রং নম্বর বলে কেটে দেয়।
এব্যপারে পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতাউর রহমান বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।