প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রাণালয়ের অধীনে মৌলভীবাজার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবার জাপানের আর্টিস্টিক জাতের লাল ঢেঁড়সের বাম্পার ফলন হয়েছে। লাল জাতের ঢেঁড়সের ফলন খুব কম জায়গায় হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রচলিত ঢেঁড়সের রং সাধারণত সবুজ হয়। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দেশের মহামাররি করোনা ভাইরাসের কারণে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে সকল কিছু। কিন্তু, প্রতিষ্ঠানের ভেতরে গিয়ে দেখা যায় ভিন্নতা। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ নাহিদ নিয়াজ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী অফিসের সকল দায়িত্ব পালণ করেও নিজ উদ্যাগেই কেন্দ্রের ভেতরে রোপণ করেছেন জাপানের আর্টিস্টিক জাতের লাল ঢেঁড়স। সঠিক পরিচর্যায় ফলনও হয়েছে অনেক ভালো। পাশাপশি বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ আম, জাম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, পেপে, পেয়ারা, আপেল, কমলা, মালটা, আতা, আনার, সবেদা, ড্রাগন, অরবরই, বিলম্ব, জামরুল, আমলকি, বেল, শরীফা, লুকলুকি, ডেওয়া, কফি, কাউ, লেবু, বরই, করমচা, কামরাঙ্গা, চালতা, সাতকরা, ট্যাং, কদবেল,মোসাম্বি, ডালিম, লটকন, জলপাই, এলাচ (মসলা), তেজপাতা (মসলা), গোলাপ জাম, বিলাতি গাব,গোল মরিচ (মসলা), দারুচিনি, সুইট লেমনসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ ও বনজ গাছের চারা রোপন করে বাগান তৈরি করে রেখেছেন। এসব কিছুতে খাদ্যমানও রয়েছে অন্যসব প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক বেশি। ফলে কৃষক পর্যায়ে এসব জাত বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জানা গেছে- লাল ঢেঁড়স এটি একটি হাইব্রিড জাত। ঢেঁড়সের পাতা সবুজ হলেও পাতার শিরা ও পুরো ফলটি লাল রঙের হয়ে থাকে। ফুলটি হলুদ-লালাভ। এর ফলগুলো বেশ বড় বড়। লাল ঢেঁড়স সারা বছরই চাষযোগ্য। বীজ বপন থেকে শুরু করে ৪০-৪৫ দিনের মধ্যেই ঢেঁড়স সংগ্রহ করা যায়। এ ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণ সালফার, বিটা-ক্যারোটিন ও এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা মানুষের রাতকানাসহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। ঢেঁড়সের বীজে উচ্চমানের তেল ও আমিষ আছে। আমাশয়, কোষ্টকাঠিন্যসহ পেটের পীড়ায় ঢেঁড়স অত্যন্ত উপকারী।সবজি হিসেবে এটি সবার নিকটই প্রিয়। এ ঢেঁড়স চাষে পেটের খোরাকের পাশাপাশি মনের সৌন্দর্যের খোরাকও মেটাবে। এটি যেখানে রোপন করা যাবে সেখানেই শোভাবর্ধনও করবে।