মৌলভীবাজারে সদর উপজেলার ১নং খলিলপুর ইউনিয়নের হলিমপুর গ্রামের প্রবাসী মোস্তফা মিয়ার বাড়ীতে ইতালী প্রবাসী স্ত্রী ফাতেমা বাবর এলিজা (২৫) এর মৃত্যু নিয়ে নানামুখী রহস্য দেখা দিয়েছে। ঘঠনাটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে এ নিয়ে সর্বত্র চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শ্বশুরালয়, ঘরের কাজে মহিলা, পাইভেট গাড়ী চালক ও স্থানীয় জন প্রতিনিধির বক্তব্য ভিন্নতা পাওয়া যাচ্ছে। এলিজার ৬বছরের শিশু কন্যা ও তার পরিবারের লোকজনদের বক্তব্যেও তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে মর্মে দাবী করা হচ্ছে। লোকদের ভাষ্য মতে বিগত ৩০ মে শনিবার সকালে ঘুম থেকে ওঠে গৃহবধু এলিজা তার শ্বশুর শ্বাশুরিদের চা-নাস্তা খাওয়া-দাওয়া শেষে সে মুঠোফোনে একজনের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অশ্রিল ভাষায় কথা বলে। ফোনে কথা বলার এক পর্যায়ে তার শয়ন কক্ষে যায় এবং পরবর্তীতে যে ভীমের সাথে সিলিং ফ্যান তাতে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে, সে পিত্রালয়ে যাবার আগে কার সাথে কি এমন কথা হয়, যে কারণে সে আন্তহত্যা করতে পারে ?। সে কে ?। পুলিশ সেই ফোন জব্ধ করেনি কেন ?। এলিজার পাসপোর্টসহ মূল্যবান জিনিষপত্র, ঘরে রক্ষিত সকল ছবি সরিয়ে দেয়া হল কেন ?। ঘঠনার দিন অথবা এর আগেও তার স্বামী মোস্তফা মিয়ার সাথে এলিজার কোন কথা বার্তা না হলেও “স্বামীর সাথে অভিমান” করে এলিজা আত্মহত্যা করেছে এমন মিথ্যা খবর প্রচার কারা করলেন ?। ঘঠনার আগ মুহুর্তে, এলিজার দেবর হোসাইন এর সাথে মুঠোফোনে অশ্রিল বাক্য বিনিময় হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে সেই বিষয়টি গোপন রাখা হলো কেন ?। এলিজার পরিবারের লোকজন বলেন- তাদের মেয়ে শ্বশুরালয়ে নির্যাতনের শিকার ছিল। বিবাহের দীর্ঘদিন পরে প্রায় বছর খানেক আগে প্রবাসী স্বামী তাকে ইটালিতে নিয়ে ৬ মাসের মধ্যেই দেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য করলো কেন ? শ্বশুরালয়ের লোকজন ইটালী প্রবাসী স্বামীর সাথে যোগাযোগ করলে এলিজার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কোন মন্ত্রব্য করতে রাজি হয়নি কেন ? শিশু কন্যার ও কোন খোঁজ খবর রাখছে ? এলিজার পিত্রালয়ের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে চাইলে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় মামলা না নিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের আশংকা, প্রতিপক্ষের পেশী শক্তির কারনে উচিত বিচার নাও পেতে পারেন। ঘটনার পর থেকে তাদের বাড়িতে অদ্যাবধি কান্নার রুল চলছে। তাদের একই দাবী তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। কক্ষের ভিতরে মই বা চৌ-পায়ি ছাড়া এত উচুতে কিভাবে ঝুলে ফাঁসিতে ঝুলতে পারে ? প্রশাসনের সদিচ্ছা ও সুষ্ঠু তদন্তই মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটন করতে পারে বলে দাবী সচেতন মহলের। উক্ত মৃতের পরিবারের দাবি – তাদের মেয়ে এলিজা ধর্য্যশীল ও দ্বীনদার হওয়ায় হাস্যরসে সবসময় সকল দুঃখ চাপা দিয়ে চলার শতচেষ্টা করত। এ হত্যার ব্যাপারে তাদের সন্দেহের তীর শ্বশুরালয়ের মানুষ ও তার দেবর হোসাইনসহ অন্যান্যদের দিকে। যা প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলে তারা দৃঢ় প্রত্যাশী।