গ্রীষ্ম মানেই তীব্র তাপদাহ। খাঁ খাঁ রোদ্দুর। ক্লান্ত পথিক। এ সময়ই প্রকৃতি সাজে নানা রঙে। গাছে গাছে বাহারি সব ফুল যেন গ্রীষ্মের তাপদহের সব ক্লান্তি দূর করে দেয়!
গ্রীষ্মকালের কয়েকটি ফুলের মধ্যে ‘সোনালু’ অন্যতম।
হলদে সোনালী রঙের সোনালু ফুল গ্রীষ্মের পুরোটা সময় ধরে আলোকিত করে রাখে চারিদিক।
মুক্তকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, সোনালি রঙের ফুল ফোটে বলে এটিকে সোনালু গাছ বলা হয়। কোন কোন অঞ্চলে একে বাদুর লাঠিগাছ নামেও ডাকা হয়।
একটি সোনালু গাছ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতার হয়। বসন্তের শেষে ফুলের কলি আসার আগে গাছে নতুন পাতা গজায়। আর গ্রীষ্মকাল পুরোটা জুড়ে গাছে সোনালী রঙের ফুল ফুটে থাকে।
সোনালু গাছ আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। জানা গেছে, সোনালু গাছের কাঠের তেমন একটা ব্যবহার হয় না বলেই মানুষ এ গাছ রোপণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দৃষ্টিনন্দন ভবনের দিকে চোখ পড়লেই দেখে মেলে একটি সোনালু গাছের।
সোনালি রঙের ফুলে ফুলে আলোকিত হয়ে আছে ভবনটির চারিপাশ । সোনালু ফুলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হচ্ছেন সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ । সেই সাথে কৃষি ভবন চত্বরটির সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে গেছে।
উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির চন্দ্র সরকার অনাবিল সংবাদকে জানান, বিলুপ্তপ্রায় এ বৃক্ষটির সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দিতেই তিনি এ গাছটি রোপণ করেছেন।