প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেকোনও সময় দেশের সকল বিমানবন্দর শাটডাউন হতে পারে সব বিমানবন্দর

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেকোনও সময় দেশের সকল বিমানবন্দর শাটডাউনের ঘোষণা আসতে পারে। এ সিদ্ধান্ত নিতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) গত দুইদিন ধরে মনিটরিং করছে।

বেবিচক সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশের এসব পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করছে বেবিচক। এছাড়াও সেই দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা চিকিৎসকদের মতামত নেয়া হচ্ছে। তারা নেতিবাচক মতামত দিলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

রোববার (২২ মার্চ) বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যদি কোনও ফ্লাইটে ঝুঁকি মনে হয় তাহলে আমরা সে ফ্লাইটও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আজ (রোববার) ও কাল (সোমবার) পরিস্থিতি দেখব।

বর্তমানে শুধুমাত্র থাইল্যান্ড, চীন, যুক্তরাজ্য ও হংকংয়ের সঙ্গে বিমান চলাচল রয়েছে বাংলাদেশের। তবে এই চার দেশের ফ্লাইট চলাচলেও নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছে বেবিচক।

শনিবার (২১ মার্চ) বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানিয়েছিলেন, এই দেশগুলো অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ রুটে যাত্রী আশা-যাওয়া চালু রাখা হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটার বলছে, চীনে রোববার নতুন করে ৪৬ জন, থাইল্যান্ডে ১৮৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। এদিন চীনে ৬ ও থাইল্যান্ডে ১ জন মারা গেছেন। হংকংয়ে নতুন কেউ আক্রান্ত না হলেও দেশটিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে, আরও চারজন গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন। যুক্তরাজ্যে মারা গেছেন ২৩৩ জন।

শাহজালাল পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ-উল-আহসান বলেন, এ পর্যন্ত আগত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিতভাবে করা হচ্ছে। যাত্রীরা দেশে ফেরার পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর যদি মনে করে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার দরকার সেক্ষেত্রে তারা সেসব যাত্রীকে হজক্যাম্পে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে।

‘আমাদের এই সিস্টেমটা ডেভেলপ করা আছে তবে এখন পর্যন্ত কাউকে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হজ ক্যাম্পে হস্তান্তরের প্রয়োজন হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা বেশি থাকায় তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বাকিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের থাকার নির্দেশ দিয়ে সিল দেয়া হয়েছে’।

এছাড়া দেশের অন্য দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চট্টগ্রামের শাহ্ আমানত ও সিলেটের ওসমানীতে কোনও ফ্লাইট নামেনি।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন দুইজন।