নানা আয়োজনে রাজশাহীতে পালিত হয়েছে বসন্তবরণ উৎসব। বসন্তবরণ ও ভালবাসা দিবসে মহানগরীর ফুল দোকানগুলো ছিল ভিড়ে ঠাসা। ফুলের সঙ্গে বিক্রি হয়েছে বিশেষত হলুদ এবং লাল পোষাক। রাজশাহী মহানগরীতে বসন্তবরণের সবচেয়ে বড় আয়োজন ছিল রাজশাহী কলেজে। শুক্রবার সকালে কলেজ থেকে একটি বসন্তবরণ র্যালী বের করা হয়। এসময় র্যালীটি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে নগরীর সাহেব বাজার,কুমারপাড়াসহ বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ শেষে আবার কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে নেতৃত্ব দেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল খালেকসহ অন্যান্য বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। র্যালী শেষে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ আমরা আমাদের রাজশাহী কলেজে বসন্ত বরণের সফল আয়োজন করেছি। সকালে সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালী করা হয়। এরপর দুপুর একটা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে সকল অসা¤প্রাদায়িকতা দূর হোক ও বাংলার ঐতিহ্যকে বুকে লালন করে বাংলার এ উৎসব গুলো আমরা বাঙালিরা একত্র হয়ে পালন করি। আর বসন্তের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আলোর পথে তাদের জীবন আলোকিত হোক। রাজশাহী কলেজ দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী নীলা আক্তার জানান, সকাল থেকেই সকল বন্ধু বান্ধবীরা আমরা একত্রিত হয়েছি। আগে থেকেই বান্ধবীরা বসন্তের শাড়ী ও বন্ধুরা পাঞ্জাবী কিনে রেখেছিলাম সকালে তা পড়ে বের হয়েছি। ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, কয়েক দিন থেকেই আমরা স্যারদের নির্দেশে বসন্তের সকল প্রস্তুতি নিয়ে থাকি এবারো তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। এছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠন নানা আয়োজনে বসন্ত বরণ উৎসব পালিত করেছে। এ উপলক্ষে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া মহানগীরতে আবীর ও ফুলের প্রীতি বন্ধনীর পাশাপাশি ছিল নাচ ও গানের আয়োজন। দিনটি উপলক্ষে সকাল থেকে তারুণ্যের ঢল নামে মহানগরীর বড়কুঠি পদ্মাপাড়ে, টি-বাঁধ, কেন্দ্রীয় উদ্যান ও ভদ্রার শহীদ মনসুর রহমান পার্কে। এর মধ্যে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আনন্দ র্যালী। বর্নিল সাজে শিক্ষার্থীরা এসব আয়োজনে অংশ নেয়। এসময় নেচে-গেয়ে তারা ঋতুরাজকে স্বাগত জানায়।